ইরানের পারমাণবিক, তেল ও গ্যাস অবকাঠামোয় ইসরায়েলের অতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কয়েক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিশোধিত তেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, যুদ্ধ জ্বালানি অবকাঠামোতেও বিস্তৃত হবে এবং এই অঞ্চলে সরবরাহ ব্যাহত হবে।
গত সপ্তাহের তুলনায় সোমবার (১৬ জুন) অপরিশোধিত ব্রেন্ট তেলের দাম ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৯ জুন অপরিশোধিত ব্রেন্ট তেলের দাম ৬৬ দশমিক ২ ডলারে থাকলেও আজ সোমবার ৭০০ জিএমটি পর্যন্ত তা ৭৩ দশিমিক ৭ ডলারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ ১১ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইরান ও ইসরালের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যে তেল সরবরাহের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। এর মধ্যে আঞ্চলিক সরবরাহে সম্ভাব্য ব্যাঘাত, সঙ্গে হরমুজ প্রণালীর জাহাজ পরিবহনে সংকট তৈরির আশঙ্কা বেড়েছে। প্রণালীটি বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
টেক্সাসে অপরিশোধিত তেলের দামও একই সময়ের মধ্যে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭১ দশমিক ৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের চলমান যুদ্ধের সূচনা হয় শুক্রবার ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলি হামলার পর থেকে। হামলার ফলে ইরানের সামরিক কমান্ডার ও বিজ্ঞানীরা নিহত হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের জবাবে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রতিশোধ নিতে বাধ্য হয়, যার ফলে ইসরায়েলি হতাহত ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, শনিবার দক্ষিণ ইরানের দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্রে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এতে দুটি প্রাকৃতিক গ্যাস পরিশোধনাগারের স্থাপনায় হামলা হয়েছে। তবে স্থাপনাগুলোতে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। সাউথ পার্স বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি।
সূত্রের বরাতে দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, তেহরানের কাছে ইসরায়েল একটি প্রধান তেল ডিপোতেও আঘাত করেছে। অন্যদিকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো হাইফায় একটি প্রধান তেল শোধনাগারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।