নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি ও অন্যান্য মন্ত্রীদের পদত্যাগের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত ৯ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে পালিয়ে যান তারা। এরপর থেকে তাদের আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি।
এ সময় গুঞ্জন ওঠে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওলি হয়তো ভারত কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে পদত্যাগের একদিন পর লিখিত বার্তায় তিনি জানান, নেপালেই রয়েছেন এবং রাজধানী কাঠমান্ডুর শিবপুরী এলাকায় সেনা নিয়ন্ত্রিত একটি স্থানে অবস্থান করছেন। এরপর থেকে তার আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
গত ১০ সেপ্টেম্বর নেপালি সংবাদমাধ্যম সেতোপাতি জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওলি, সিপিএন (মাওবাদী কেন্দ্র) চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দাহাল, সিপিএন (একীকৃত সমাজতান্ত্রিক) চেয়ারম্যান মাধব কুমার নেপালসহ কয়েকজন মন্ত্রীকে কাঠমান্ডুর শিবপুরীর সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর একটি উচ্চপদস্থ সূত্র জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওলি, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ মান সিং, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেল, দাহাল ও নেপালসহ সব মন্ত্রীকে শিবপুরীর আর্মি কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর রাতে জেন-জেড তরুণদের উদ্দেশে লেখা এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন ওলি নিজেও।
সূত্র জানায়, মন্ত্রীদের প্রথমে সরকারি বাসভবন ভৈঁসেপাটি থেকে সরানো হয়। দাহাল ও নেপালকে সিংহ দরবার থেকে সেনা হেলিকপ্টারে করে শিবপুরীতে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে সিংহ দরবারে বিরোধী দলগুলোর বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন দাহাল ও নেপাল। ওই সময় দাহালের বাড়িতে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে সেনারা দ্রুত তাদের সরিয়ে নেয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন ওলি। এর পরপরই সেনারা তাকে বালুয়াটার থেকে হেলিকপ্টারে করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। শুধু ওলি নন, রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল, মন্ত্রিসভার সদস্য ও শীর্ষ নেতাদেরও সেনারা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।