দ্বিতীয় মেয়াদে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সামিয়া সুলুহু হাসান। শনিবার (০১ অক্টোবর) দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। ক্ষমতাসীন চামা চা মাপিনডুজি (সিসিএম) দলের হয়ে ভোটে অংশগ্রহণ করেন সামিয়া। তবে, দেশটির প্রধান বিরোধী দলগুলোর দুই নেতাকে ভোটে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ায় ইতিমধ্যেই এ নির্বাচন বিতর্কিত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
ভোটের আগে সামিয়া সরকার ভিন্নমত পোষণকারী ও বিরোধীদের ওপর কঠোর দমন-পীড়ন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া নির্বাচনের দিন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়, কিছু বিক্ষোভকারী হাসানের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুঁড়ে। শুক্রবারও দেশটির বৃহত্তম নগরী দার-এস-সালামে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা অসংখ্য গাড়ি, পেট্রোল স্টেশন ও থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
দেশটির প্রধান বিরোধীদল চাদেমা পার্টি বিক্ষোভে প্রায় ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, তিনটি শহরে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ থাবিত কম্বো বলেছেন, নির্বাচন আয়োজনে কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে কাজ করেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ঘটনা ঘটেনি। সরকার কোনও বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার তথ্য পায়নি।



