ঢাকা শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫

প্রথমবারের মতো মহাকাশে গেল ইঁদুর

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
এআই দিয়ে ছবিটি বানানো।

চীন মহাকাশে প্রথমবারের মতো চারটি ইঁদুর পাঠিয়েছে। এছাড়াও এই মিশনে চারজন নভোচারীও অংশ নিয়েছেন। শেনচৌ-২১ মহাকাশযানটি স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১:৪৪ মিনিটে উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।

চীনা বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই গবেষণা দীর্ঘমেয়াদী মানব মহাকাশ অভিযানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবে। বিশেষ করে স্তন্যপায়ী প্রাণীর আচরণ, চাপ এবং মাইক্রোগ্র্যাভিটি ও বন্দিদশার প্রভাব বোঝার ক্ষেত্রে এ থেকে নতুন ধারণা পাওয়া যাবে।

৬০ দিনের প্রশিক্ষণের পর ৩০০ প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচিত চারটি ইঁদুরের মধ্যে দু’টি পুরুষ ও দু’টি মহিলা। তিয়ানগং স্টেশনে ইঁদুরগুলোর চলাচল, খাদ্যগ্রহণ ও চাপের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হবে উন্নত বহুমাত্রিক ভিডিও প্রযুক্তির মাধ্যমে। গবেষণার পর তারা শেনচৌ-২০ মহাকাশযানের মাধ্যমে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে।

মিশনের ক্রুদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঝাং লু। সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী প্রকৌশলী উ ফেই এবং নতুন শক্তি ও উপকরণ বিশেষজ্ঞ ঝাং হংঝাং। তারা ছয় মাস তিয়ানগং স্টেশনে অবস্থান করবেন এবং ২৭টি বৈজ্ঞানিক ও প্রয়োগিক প্রকল্প পরিচালনা করবেন।

এই মিশনে ৬৩ কিলোগ্রামের পরীক্ষামূলক সরঞ্জামও পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জীবনবিজ্ঞান, তরল পদার্থবিদ্যা এবং লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি সংক্রান্ত গবেষণার উপকরণ। লক্ষ্য মহাকাশে ব্যাটারির নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি এবং মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে জৈব ও ভৌত প্রক্রিয়ার বোঝাপড়া উন্নত করা।

শেনচৌ-২১ চীনের মানববাহী মহাকাশ কর্মসূচির ৩৭তম মিশন এবং তিয়ানগং স্টেশনের ষষ্ঠ ক্রু মিশন। চীন ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী প্রেরণের লক্ষ্য রাখছে। পাকিস্তানের সহযোগিতায় ভবিষ্যতে তিয়ানগং স্টেশনে বিদেশী নভোচারীর অংশগ্রহণও সম্ভব।

নভোচারীরা ছয় মাস তিয়ানগং স্টেশনে থাকবেন এবং মহাকাশে প্রথমবারের মতো ইঁদুরের আচরণ নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করবেন। ইঁদুরগুলো পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।