বরগুনা জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় কারাগারে থাকা ১২ আইনজীবীর মধ্যে ১০ জনকে ফের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক দেখানো হয়েছে। আইনজীবীরা পূর্বের মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে জেলগেট থেকে বের হওয়ার আগ মুহূর্তে বেতাগী থানার একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুনরায় কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাড়ে ৩টায় জেলার জেল গেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান।
জানা গেছে, বরগুনা জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ মামলায় ২ সেপ্টেম্বর জেলা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের এনেক্স ১৩ নম্বর বিচারকের আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালতের দুই বিচারক আসামি আইনজীবীদের ৬ সপ্তাহের জন্য জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন আদেশটি সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে জেলা কারাগারে প্রদান করা হলে, কারাগার কর্তৃপক্ষ তাদের মুক্ত করার আগ মুহূর্তে বেতাগী থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে জেলগেট থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে।
পুনরায় কারাগারে যাওয়া ১০ আইনজীবী হলেন: বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহাবুবুল বারী আসলাম, অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু, সাবেক জিপি মজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট সাইমুম ইসলাম রাব্বি, অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির পল্টু, বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, আবদুল্লাহ আল মামুন, অ্যাডভোকেট ইমরান, আমতলী গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদ্য ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ যোগদানকারী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম এবং অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন। এ ছাড়া কারাগারে থাকা অন্য দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুনায়েদ জুয়েল ও অ্যাডভোকেট আ. রহমান জুয়েলকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা জজ আদালতে মামলার তদারকি করা আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কারাগারে থাকা ১০ আইনজীবীকে হাইকোর্ট থেকে ৬ মাসের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। আমরা আদেশের কপি কারাগার কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু জামিন আদেশ পাওয়ার আগেই বেতাগী থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা এই মামলার জন্য পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করেছি।’
বেতাগী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এলাকায় দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বেতাগী থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা রয়েছে। আসামিরা প্রত্যেকেই এজাহারভুক্ত। জেলহাজতে তাদের আটক থাকার সংবাদ পাওয়ার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’