ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

টেস্ট সিরিজ উপভোগ করতে চান শান্তরা

মাঠে ময়দানে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০৫:২৪ এএম

আজ থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজটি উপভোগ করতে চান বলে জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘খুবই রোমাঞ্চিত এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে এই দুইটা টেস্ট ম্যাচ উপভোগ করতে চাই সবাই মিলে একসঙ্গে।’ আয়ারল্যান্ড সিরিজেই শততম টেস্ট ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন মুশফিকুর রহিম। এই সিনিয়র ক্রিকেটারের রেকর্ড প্রসঙ্গে অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘স্পেশ্যালি ১০০তমটা যদি উনি (মুশফিক) সুস্থভাবে খেলতে পারে, তাহলে ওই পাঁচটা দিন আমরা সবাই মিলে সেলিব্রিট করব এবং এবং পুরা দিনটা, পাঁচটা দিন খুব ভালোভাবে এনজয় করতে চাই। খুবই আশাবাদী ইনশাআল্লাহ উনি সুস্থভাবে দুইটা টেস্ট ম্যাচ খেলবেন।’

এদিকে, গত সপ্তাহে আচমকা বিসিবির কাছে একটি চিঠি দিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। সেখানে তিনি উল্লেখ করে দিয়েছিলেন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজ শেষে দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন। সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্বটা উপভোগ করছেন না। তবে অধিনায়ক শান্ত জানালেন, সালাউদ্দিনের সঙ্গে প্রত্যেক ক্রিকেটার কাজ করাটা বেশ উপভোগ করছিলেন। প্রথম টেস্টের আগে শান্ত বলেন, ‘এটা তো ওনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বোর্ডের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে, এ নিয়ে আমার ধারণা নেই। এটা সালাউদ্দিন স্যার বলতে পারবেন। আমার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। আমি আশা করি, বোর্ড ও তার মধ্যে ভালো আলোচনা হবে।’ সালাউদ্দিনের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে শান্ত বলেন, ‘যত দিন কাজ করেছি উপভোগ করেছি। স্যার প্রত্যেক ক্রিকেটারকে সমানভাবে দেখার চেষ্টা করেন, সবাইকে প্রাধান্য দেন, যার যার ঘাটতি অনুযায়ী কাজ করেন। এই জায়গায় একটা গ্যাপ থেকে যায়। বাইরে থেকে অনেক কিছু মনে হয়, আমরা যা শুনছি, সব কিছুর সত্যতা নেই।’ পরে শান্ত জানান, সালাউদ্দিনের অধীনে সকল ক্রিকেটার খুশি। এমনকি তার কাজের ধরন খুব ভালো, সেটাও পরিষ্কার করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। তিনি বলেন, ‘(সালাউদ্দিনের কাজে) সব ক্রিকেটার খুশি ছিলাম, সাম্প্রতিক যত সিরিজে আমি ছিলাম। উপভোগ করেছি। এবং উনি যতটুকু কাজ করেছেন খুবই ভালো কাজ করেছেন।’

অন্যদিকে, এই বছরের জুনে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন শান্ত। পরে কিছুদিন আগে আবারো টেস্ট দলের নেতৃত্বে ফিরেছেন তিনি। মাঝের সময়ে লাল বলের কোনো ম্যাচ খেলেনি টাইগাররা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে নামার আগে শান্ত বলেন, ‘কিছু দিন অধিনায়ক ছিলাম না। ওই সময় রিল্যাক্সে ছিলাম, উপভোগ করেছি। ভালো সময় কেটেছে। ক্রিকেট বোর্ড আমার সঙ্গে যেভাবে যোগাযোগ করেছে, সবার সঙ্গে সুন্দর আলোচনা হয়েছে। একটা সময় মনে হয়েছে, ব্যক্তি নাজমুল হোসেন শান্তর চেয়ে বাংলাদেশ দল অনেক বড়। আমার চিন্তা থেকে বড় চিন্তা হলো যে, আসলে বাংলাদেশ দলের কী প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বোর্ডের এত বড় বড় কর্মকর্তা বা সাবেক ক্রিকেটার যারা বোর্ডে আছে, তারা যখন একটা পরামর্শ দিচ্ছেন, অবশ্যই এটা দলের ভালোর জন্য, আমার নিজের ভালোর জন্য। তাই ওই আলোচনাটাকে আমি পুরোপুরি সম্মান দিয়েছি। যদি এক কথায় বলি যে আমার মনে হয়েছে, ব্যক্তি নাজমুল হোসেন শান্ত থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলটা আগে রাখা উচিত। তাই আমি দলটাকে আগে রেখে আমি আবার এই সিদ্ধান্তে এসেছি।’ শান্তর আশা তিন ফরম্যাটে ভিন্ন তিন অধিনায়ক থাকলেও সমস্যা হবে না কোনো, ‘আমার মনে হয়েছিল (সমস্যা হবে)। এটা মনে হওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণও ছিল। তবে যেটা বললাম একটু আগে যে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দারুণ আলোচনা হয়েছে। কী কী সমস্যা হতে পারে, কীভাবে সমাধান করতে পারি- সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা খুবই ক্লিয়ার। আমি আশাবাদী যে, এই ধরনের কোনো সমস্যা হবে না।’