ঢাকা শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫

সরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা বাড়ছে চারগুণ!

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য দ্রুতই আসছে নবম জাতীয় পে-স্কেল। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত ‘পে কমিশন’ ইতিমধ্যেই নতুন বেতন কাঠামো এবং বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। নতুন পে-স্কেলে মূলবেতন-বাড়ি ভাড়ার পাশাপাশি চিকিৎসা ভাতাও বাড়ানোর প্রস্তাবনা দিয়েছে কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন।

বর্তমানে একজন সরকারি কর্মচারী মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। নতুন পে-স্কেলে এই ভাতাটি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে বলে জোরাল ইঙ্গিত মিলেছে। পে কমিশনের কাছে বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তাবনা জমা পড়েছে, যা থেকে এই ভাতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে চিকিৎসা ভাতা বর্তমানের ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সরাসরি ২ হাজার ৫০০ টাকা করা। দ্রব্যমূল্যের চাপ বিবেচনা করে এই ভাতাটি বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা বা কিছু কিছু গ্রেডের জন্য ৬ হাজার টাকা করার সুপারিশও করা হয়েছে। এ ছাড়াও কর্মচারীদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ হিসেবে চিকিৎসা ভাতা নির্ধারণ করা।

পে কমিশন শুধু চাকরির সময়কালের জন্য ভাতা বৃদ্ধি নয় বরং অবসর-পরবর্তী সময়ের জন্যও চিকিৎসা সুবিধার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

এদিকে নতুন পে-স্কেল সর্বনিম্ন (২০তম গ্রেডের) মূল বেতন ৩৫ হাজার টাকা করার একটি বড় প্রস্তাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ বেতনের সিলিং ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বা তারও বেশি করার দাবি জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবনায় চিকিৎসা ভাতার পাশাপাশি সন্তানের শিক্ষা ভাতা এবং টিফিন ভাতাও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর সুপারিশ করা হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই জমা দেওয়া হতে পারে। এরপর দ্রুততম সময়ে গেজেট আকারে নতুন প-স্কেল প্রকাশ ও কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।