ঢাকা শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

হামলার রাতেই কেন ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ ছিল?

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
ইরান এন্টি মিসাইল ব্যবস্থা। ছবি- সংগৃহীত

ইরানের ৮টি লক্ষবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। তবে উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সত্ত্বেও কেন হামলা প্রতিহত করতে পারেনি ইরান- তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। রেডিও তেহরান বলছে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ থাকার কারণেই হামলা প্রতিহত করতে পারেনি ইরান।

ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আরমান, জুবিন, এডি ০৮ ও ফজর ০৮ সহ আরও আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে। এরপরও তারা ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত করতে পারেনি।

জানা গেছে, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আরমান লং রেঞ্জ এন্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল’। ১৮০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে মিসাইল আক্রমণ ও প্রতিহত করতে সক্ষম এই আরমান।

৩৬০ ডিগ্রি ঘূর্ণায়মান এবং নূন্যতম ছয়টি ভিন্ন লক্ষ্য থেকে সর্বোচ্চ ২৪ লক্ষ্যে হামলা করার সামর্থ্য রয়েছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির।

এ ছাড়াও জুবিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্বল্প দূরত্বে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। ৩০ কিলোমিটার রেঞ্জে হামলা শনাক্ত ও প্রতিরোধ করতে সক্ষম এটি।

২০২৩ সালে ইরান উদ্বোধন করে এডি ০৮ মিসাইল ব্যবস্থার। এটি স্বল্প দূরত্বে ও স্বল্প উচ্চতার বিমান হেলিকপ্টার ও ড্রোন মিসাইল শনাক্ত ও প্রতিরক্ষা করতে সক্ষম।

এ ছাড়া ফজর ০৮ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মূলত এস ২০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নত সংস্করণ। এমনকি এসএ ৮, এস ৩০০ ও রা’আদ হলো ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য কিছু ব্যবস্থা।

এমন সব আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নাকি এদিন বন্ধ রেখেছিলো ইরান। ইসরায়েলি হামলা হওয়ার পর এগুলো চালু করে দেশটি। বাংলাদেশের একটি বেসরকারি চ্যানেলে এমনি দাবি করেছে রেডিও তেহরানের এক সাংবাদিক।

 

এমনকি তিনি এও দাবি করেন, এই সংঘাত সহজেই থামবার নয়, দীর্ঘ মেয়াদি যুদ্ধে জড়াতে পারে ইরান-ইসরায়েল।

তবে কেন এদিন রাতে ইরান তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিলো সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।

এদিকে ইসরায়েলি হামলায় ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাঘেরি, খাতাম-আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের কমান্ডার গোলাম আলি রাশিদ, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফেরেইদুন আব্বাসি, পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত আরেক বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়াও আব্দুল হামিদ মিনুচেহর, আহমেদরেজা জোলফাগারি, সাইয়্যেদ আমির হোসেইন ফাকি, মোতলাবিজাদেহ এবং ফেরেদুন আব্বাসির মতো পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হন।