ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় আটক সব জিম্মির মুক্তি ও প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনায় বসতে তার সরকার প্রস্তুত। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, আলোচনা হবে কেবল ইসরায়েলের গ্রহণযোগ্য শর্তে।
গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে ইসরায়েলি সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে নেতানিয়াহু বলেন, ‘সব জিম্মির মুক্তি ও হামাসকে পরাজিত করার প্রক্রিয়া সমান্তরালভাবে চলবে।’ তিনি জানান, আলোচনার জন্য তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং আলোচনার স্থান নির্ধারণ হলেই ইসরায়েল আলোচক পাঠাবে।
এদিকে মন্ত্রিসভা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শহর গাজা সিটিতে নতুন সামরিক অভিযানের অনুমোদন দিয়েছে। পরিকল্পিত এ অভিযানের কারণে নেতানিয়াহুর সরকার ইসরায়েলের ভেতর ও বাইরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
এর আগে গত সোমবার কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল হামাস। প্রস্তাবে গাজায় আটক জিম্মিদের অর্ধেককে ছেড়ে দেয়োর শর্তও ছিল। তবে নেতানিয়াহু জানিয়ে দেন, বর্তমান প্রস্তাব ইসরায়েলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
ইসরায়েলের অবস্থান হলো ধাপে ধাপে নয়, বরং সব জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দিতে হবে। পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির জন্য শর্ত হিসেবে তারা দাবি করছে গাজায় হামাসের অস্ত্রসমর্পণ, এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের বদলে গাজার নিরস্ত্রীকরণ, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং এমন এক প্রশাসনিক কাঠামো যেখানে হামাস বা প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের (পিএ) ভূমিকা থাকবে না। অন্যদিকে হামাস স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা অস্ত্র সমর্পণে রাজি নয়।
২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলার সময় মোট ২৫১ জনকে ইসরায়েলে জিম্মি করা হয়। পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিরতির সময় বেশ কিছু জিম্মি মুক্তি দেওয়া হয় এবং অনেকে নিহত হয়। বর্তমানে গাজায় অন্তত ২০ জন জিম্মি জীবিত আছেন বলে ধারণা করছে তেল আবিব।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন