সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শ্বশুরকে খুন করে ভ্যানগাড়ি বেঁচে দিল জামাতা

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৫, ০২:০৮ এএম

শ্বশুরকে খুন করে ভ্যানগাড়ি  বেঁচে দিল জামাতা

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শ্বশুর অখিল হালদার মন্টুকে (৬০) গলা টিপে হত্যার অভিযোগে তার জামাতা কৃষ্ণ বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তারের পর শনিবার  সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার কৃষ্ণ বাড়ৈ গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাকাই গ্রামের কানাই বাড়ৈর ছেলে। নিহত অখিল হালদার মন্টু আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামনন্দের আঁক গ্রামের বাসিন্দা।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে দুধ বিক্রি করতে গিয়ে নিখোঁজ হন অখিল হালদার। বাজার থেকে ফেরার পথে জামাতা কৃষ্ণ বাড়ৈ তাকে কৌশলে সঙ্গে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন বৃহস্পতিবার স্ত্রী বিউটি হালদার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গত শুক্রবার কৃষ্ণ শ্বশুরবাড়িতে গেলে তার অসংলগ্ন কথাবার্তায় পরিবারের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত শুরু করে। তদন্তে অখিল হালদার নিখোঁজ হওয়ার আগে তার ফোন ও কৃষ্ণ বাড়ৈর ফোনের লোকেশন একই জায়গায় পাওয়া যায়। পাশাপাশি ডাসার থানার পাথুরিয়ারপাড় এলাকার একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে অখিল হালদারের ভ্যানগাড়ি নিয়ে কৃষ্ণকে মাদারীপুরের দিকে যেতে দেখা যায়।

পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে কৃষ্ণ স্বীকার করেন, একাই শ্বশুরকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। পরে তার দেখানো মতে রাজিহার ইউনিয়নের আহুতি বাটরা গ্রামের খালের কচুরিপানার নিচ থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভ্যানগাড়িটিও মাদারীপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহতের স্ত্রী বিউটি হালদার বলেন, ‘আমার স্বামীর অমতে প্রায় দুই বছর আগে কৃষ্ণকে বিয়ে করে মেয়ে। এ বিয়ে নিয়ে শুরু থেকেই অশান্তি চলছিল। নানা কারণে জামাই আমাদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল।’

আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. অলিউল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে কৃষ্ণকে সন্দেহ হয়। পরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার বিষয়টি সে স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!