যুক্তরাজ্যে অ্যাসাইলাম আবেদনের পুরো সিস্টেমকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছে ব্রিটিশ সরকার। মূলত দেশটির আবাসিক হোটেলের অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতেই দেশটির এ পরিকল্পনা। এ ক্ষেত্রে মামলাগুলোর দ্রুত শুনানির লক্ষ্যে বিচারকদের নিয়ে একটি নতুন প্যানেল গঠন করা হবে। যারা স্বাধীনভাবে দ্রুত মামলাগুলোর নিষ্পত্তি করবে বলে জানান ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার। এর আগে, দেশটির লন্ডন, লিভারপুল, ব্রিস্টল, হোরলে শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় অভিবাসীদের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া সাধারণ মানুষের মধ্যে। যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে তৎপর দেশটির সরকার। এ অবস্থায় নথিপত্রবিহীন অনেক অভিবাসীকে বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে। অনেকে আবার শরণার্থীর আবেদন করেছেন ব্রিটিশ সরকারের কাছে। শুরুর দিকে দ্রুতগতিতে এ আবেদনকারীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সময়ের সঙ্গে মন্থর গতিতে এগোচ্ছে এর কার্যক্রম। তাই বেশ বিপদে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের বসবাসরত শরণার্থী আবেদনকারীরা।
পুলিশের আটক এড়াতে ফ্ল্যাটে না থেকে তাদের অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন সেখানকার আবাসিক হোটেলগুলোতে। এ পরিস্থিতিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হোটেলে আশ্রয় দেওয়ায় পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ করেছেন অভিবাসীদের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া সাধারণ মানুষ। শনিবার (২৩ আগস্ট) লন্ডন, ব্রিস্টল, হোরলে ও লিভারপুলে এ নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। দু’পক্ষের এ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।
এ সময় লিভারপুলের সেইন্ট জর্জেস হলের বাইরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিক্ষোভকারীরা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। সম্প্রতি এ ইস্যুতে ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে নিয়মিত বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। জননিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে বারবার যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলছে বিক্ষোভকারীদের একটি পক্ষ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন