উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যে কয়েকটি দেশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে, তার মধ্যে অন্যতম কানাডা। সারা বিশ্ব থেকেই এ দেশে পড়তে আসেন শিক্ষার্থীরা। তবে কানাডায় পড়ার সুযোগ আশঙ্কজনকভাবে কমছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য। এমনকি পর্যটক ভিসা কিংবা কাজের ভিসাও হয়ে গেছে সীমাবদ্ধ। গত কয়েক মাসে ৬১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে ভিসা দেওয়ার হার। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিবাসন নিয়ে কাজ করা কর্মকর্তারা। সরকারকে বিষয়টি নিয়ে এখনই আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, মূলত গত বছর থেকেই বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভিসা দেওয়া কমাতে শুরু করে কানাডা। সরকারি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি এসে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে এ হার। অটোয়ার নীতির কারণে ৬১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে ভিসা।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসার জটিলতায় আছে ভারতও। তবে তারা এরইমধ্যে কানাডা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশকেও তৎপর হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
কানাডার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে পর্যটক ভিসা দেয় কানাডা; যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ১৮ লাখ কম। মূলত আশ্রয়প্রার্থীদের উল্লেখযোগ্য উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে এমন কিছু দেশের ক্ষেত্রে কানাডার ভিসার হারের পতন অত্যন্ত তীব্র। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীর হারও বেড়েছে বেশি। তা ছাড়া ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ভিসা আবেদন, সঠিকভাবে আবেদন না করতে পারার ব্যর্থতাও কমিয়েছে ভিসার হার। সব মিলিয়ে উচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ।
আইআরবি রেগুলেটেড কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে ইঙ্গিত করা হয়েছে, ভারত, বাংলাদেশ আর নাইজেরিয়াকে। বাংলাদেশ সেখানে রেডলিস্ট তালিকায় আছেই। দেখার বিষয় হলো, সম্প্রতি যত নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে সেখানে সংশোধন করা হচ্ছে অনেক কিছুই। এমনভাবে রুলগুলো সংশোধন করা হচ্ছে, যারা যোগ্য নয় তারা অটোমেটিক সরে পড়বেন।’
এ অবস্থায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিসা প্রত্যাখ্যান হচ্ছে অহরহ। পড়তে আসার সুযোগ হারাচ্ছে হাজার হাজার মেধাবী তরুণ। সেপ্টেম্বর ইনটেককে বলা হয় সব থেকে বড় মৌসুম। এ সময়েও খুব কমই মিলেছে ভিসা।
কানাডাবিষয়ক শিক্ষা পরামর্শক মাসুমুল কবির বলেন, ‘যাদের গন্তব্য কানাডা হবে, তাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে। তাদের অনেক সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। ইউনিভার্সিটিগুলো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে, এ সমস্যার খুব দ্রুত সমাধান পাওয়া যাবে বলে আশা করছি’।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন