ঢাকা রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

মুখ থুবড়ে পড়েছে ইসরায়েল! 

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৫, ০৯:৫৫ এএম
বিমর্ষ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গ্রাফিক্স : রূপালী বাংলাদেশ

আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও পরস্পরবিরোধী সরকারি বিবৃতির কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বিতরণে বিলম্ব জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়াচ্ছে এবং সরকারের ওপর আস্থা কমছে ইসরায়েলিদের। গাজা উপত্যকায় চলমান আগ্রাসন এবং সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের পটভূমিতে তেল আবিবের সামরিক ও রাজনৈতিক কৌশল মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ।

প্রতিবেদনে সংবাদপত্রটি তাদের এক নিবন্ধে গাজা যুদ্ধকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করে জানিয়েছে, হামাসের স্থিতিস্থাপকতা এবং যুদ্ধকালীন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ের ভিডিও ফাঁস হওয়ায় সৈন্যদের মনোবলে চিড় ধরেছে। স্পষ্ট সাফল্যের অভাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় অভিযান অব্যাহত রাখার উপর জোর দিচ্ছেন, যদিও তেল আবিব সামরিক ও প্রচারণা স্তরে পরাজয়ের মুখে পড়েছে।

অন্যদিকে, ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলে চালানো হামলার অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

মারিভ পত্রিকা জানিয়েছে, বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হাজারো ইসরায়েলি নাগরিক বিশ্বাস করেন যে সরকার তাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। নেতানিয়াহুর ‘জুয়া’ হিসেবে বর্ণিত ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে উত্তেজনা বৃদ্ধির কৌশলকে দায়মুক্তি দেয়া উচিত নয় বলেও পত্রিকাটি মন্তব্য করেছে।

এদিকে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও পরস্পরবিরোধী সরকারি বিবৃতির কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বিতরণে বিলম্ব জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়াচ্ছে এবং সরকারের ওপর আস্থা কমে যাচ্ছে।

গাজার মানবিক সঙ্কট নিয়ে দ্য গার্ডিয়ান একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে সাহায্য বিতরণকেন্দ্রের কাছে শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ঘোষিত তদন্তকে ‘নিরর্থক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে চিকিৎসা নথি উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, নিহত ও আহতদের একটি বড় অংশ ইসরায়েলি কামানের গোলাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে পত্রিকাটি সতর্ক করে দিয়েছে যে ইসরায়েলি তদন্তগুলো খুব কমই বাস্তব জবাবদিহিতার দিকে নিয়ে যায়।

ফরাসি সংবাদপত্র লে মন্ডে গাজায় সহায়তা বিতরণে যুক্ত সংস্থাকে সমর্থন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদানের কথা তুলে ধরেছে। উত্তেজনাপূর্ণ প্রেক্ষাপটে এই অর্থ সাহায্যকে একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যা সঙ্কটের মূল সমাধানের দিকে না গিয়ে বরং রাজনৈতিক বার্তা প্রেরণের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।

সূত্র : আল জাজিরা