বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কনার সংসার জীবন নিয়ে নতুন করে গুঞ্জন উঠেছে। দীর্ঘ সাত বছরের প্রেমের পর ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল ব্যবসায়ী গোলাম মো. ইফতেখার গহীনকে অনেকটা নীরবেই বিয়ে করেছিলেন এই গায়িকা। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে শুরু থেকেই বেশ চুপচাপ ছিলেন তারা।
প্রায় এক যুগের পথচলায় কনা ও গহীনের সংসার অনেক সময় ভালোই কাটিয়েছেন। গহীন ছিলেন কনার প্রতি ভীষণ যত্নশীল, কনার সংগীতজীবনের নীরব সহযোদ্ধা। শুরুতে তাদের বোঝাপড়া ছিল চমৎকার, গহীন সবসময় কনাকে সমর্থন দিয়েছেন, পাশে থেকেছেন।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলেছে অনেক কিছু। কনার কাজের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে সংসারের প্রতি তার মনোযোগ কমে যেতে থাকে। গহীন চেষ্টা করেও সংসারে আগের উষ্ণতা ফিরিয়ে আনতে পারেননি। অজানা দূরত্ব জমতে শুরু করে তাদের মধ্যে। ঝগড়া-বিবাদ বাড়তে থাকে, ছোট ছোট বিষয়েও মতবিরোধ তৈরি হয়।
ঘনিষ্ঠরা বলছেন, গহীন সবসময় সংসারকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কনার মনে হয় আর তেমন আগ্রহ ছিল না। সম্পর্কের টানাপোড়েন একসময় এমন জায়গায় গড়িয়ে পড়ে, যেখানে তারা কেবল কাগজে-কলমে একসঙ্গে থেকেছেন, বাস্তবে দীর্ঘদিন ধরে আলাদা।
এর মাঝেই সংগীতাঙ্গনে কনার নতুন কিছু ঘনিষ্ঠতা নিয়ে কানাঘুষা শোনা যেতে থাকে। গিটারিস্ট মো. শাহরিয়ার সাঈদ শুভ্রর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব নিয়ে অনেকেই কথা বললেও কেউ খোলাখুলি কিছু বলেনি।
শুভ্রর সঙ্গে কনার ঘনিষ্ঠ সময় কাটানো, একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো, এমনকি একসঙ্গে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতির খবরগুলোও গোপন থাকেনি।
অনেকে বলেন, কনার ব্যক্তিজীবনের এই নতুন অধ্যায়ই হয়তো সংসারের ফাটলকে চূড়ান্ত করে তুলেছে। যদিও সরাসরি কেউ এ বিষয়ে দায় চাপাননি, তবু আশপাশের সব গল্প যেন একই দিকে ইঙ্গিত করে।
গহীনের খুব কাছের মানুষদের মতে, তিনি এখনও কনাকে সম্মান করেন, তাকে নিয়ে কোনো খারাপ কথা বলেননি। তিনি বরং শেষ পর্যন্ত সংসার টিকিয়ে রাখার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন।
কনা অবশ্য সম্পর্কের নতুন গুঞ্জন অস্বীকার করেছেন। শুভ্র বর্তমানে বিদেশে থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
‘রেশমি চুড়ি’, ‘ধিমতানা’, ‘দিল দিল দিল’, ‘ও ডিজে’র মতো জনপ্রিয় গান দিয়ে কনা বহু আগেই সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করেছেন। সম্প্রতি ‘তুফান’ সিনেমায় ‘দুষ্টু কোকিল’ গানটিও শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
তবে এখন গান নয়, কনার ব্যক্তিজীবন নিয়েই আলোচনা বেশি বিনোদন মহল।
