ঢাকা সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

প্লট দুর্নীতি

হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের মামলায় আরও ১৩ জনের সাক্ষ্য

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ০১:৪০ এএম

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও তার তিন সন্তানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় আরও ১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। গতকাল রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।

সাক্ষ্য দেওয়া ব্যক্তিরা হলেনÑসোনালী ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনির হোসেন, রাজউকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও শাখা প্রধান লায়লা নূর বিশ্বাস, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক মো. আল মামুন মিয়া, রাজউকের সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-অপারেটর মো. জাকির হোসাইন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মো. জহিরুল ইসলাম খান, রাজউকের উপসচিব তানজিলুর রহমান, দুদকের কনস্টেবল আজহারুল ইসলাম, ঢাকার সাবরেজিস্ট্রার মাহবুবুর রহমান, গাজীপুরের সাবরেজিস্ট্রার সোহেল রানা, ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ ও হাসিবুজ্জামান।

তিন মামলায় এই ১৩ জন ঘুরেফিরে ২২টি সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে পৃথক তিন মামলায় ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এরপর আদালত এসব মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ ও বাদীর জেরার জন্য আদালত যথাক্রমে আগামী ১৬, ২৩ ও ২৫ নভেম্বর পৃথক দিন ধার্য করেন। শুনানিকালে কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (স্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতে এসব সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়া হয়। দুদকের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ৩১ জুলাই দুটি আদালতে পৃথক ছয় মামলায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পরিবারের সাত সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ৬টি মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। সবগুলো মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।