স্কুল থেকে এসেই টেলিভিশনের রিমোট হাতে নেয় ছোট্ট তামান্না, ঘণ্টা খানেক কার্টুন দেখার পর আর ভালো লাগে না তার। এরপর আম্মুর ফোন নিয়ে আবার কি যেন দেখতে থাকে সে। আম্মু উকি মেরে দেখে তামান্না সেই কার্টুনই দেখছে। আম্মুর বকা শুনে মুখ ভার করে বসে থাকে সে। তামান্নার মতো তোমরাও কি একই কাজ কর। কার্টুন মানে টিভি ও মোবাইলে ডুবে থাক? খাবার সময় কার্টুন না হলে চলে না? বাইরের দুনিয়ার প্রতি কি তোমাদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে? কেন এমন হয়? কখনো কি ভেবে দেখেছ? তাহলে চল জেনে নেইÑ
কার্টুন কেন এত পছন্দ?
রঙিন চরিত্র, হাসির গল্প, আর মজার সব অ্যাডভেঞ্চার, কার্টুন তোমাদের মনকে খুব সহজেই আকর্ষণ করে। মনের অজান্তেই এসব চরিত্রের সঙ্গে একরকম বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তোমাদের। তাই তো নোবিতা, শিনচ্যান কিংবা টম অ্যান্ড জেরির কা-কারখানা দেখে হেসে গড়াগড়ি খায় শিশুরা।
কিন্তু সমস্যা কোথায়?
কার্টুন ভালো হলেও অতিরিক্ত আসক্তি তোমাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তোমরা যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভি বা মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাক তাহলে চোখের ক্ষতি করে। খেলাধুলা, বইপড়া বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর অভ্যাস কমে যায়।
অনেক সময় তোমরা কার্টুন চরিত্র নকল করা শুরু কর বা বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়।
তাহলে কী করবে?
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের বেশি কার্টুন না দেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কার্টুনের বিকল্প হিসেবে গল্পের বই, ছবি আঁকা, পাজল খেলা বা বাইরে খেলাধুলায় মগ্ন থাকতে হবে।
কার্টুন তোমাদের কল্পনাশক্তি বাড়ায়, হাসতে শেখায়, নানা রকম শিক্ষা দেয় তখনই, যখন একটা নির্দিষ্ট সময় এটা দেখবে। অতিরিক্ত দেখলেই তা ক্ষতির কারণ হবে। তোমাদের মনে রাখতে হবে এটাই তোমদের জগৎ না।