ইংল্যান্ডের এক খামারে গবেষণার মতোই এক কৌতূহলজনক ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা লক্ষ্য করলেন- যখন মুরগিদের জন্য রেডিওতে ক্লাসিক্যাল মিউজিক চালানো হয়, তখন তারা আরও বেশি ডিম পাড়ে!
এই আশ্চর্য ফলাফল পাওয়ার পর, এখন সেখানে মুরগিদের জন্য চালানো হচ্ছে বিশেষভাবে তৈরি ‘চিকেন প্লে-লিস্ট’-যাতে থাকে বিথোফেন, মোতজার্ট কিংবা নরম জ্যাজ সংগীত।
গবেষকদের মতে, প্রাণীরাও শব্দ ও পরিবেশের প্রভাব অনুভব করে। উচ্চ শব্দ বা কোলাহল মুরগিদের চাপ (ংঃৎবংং) বাড়ায়, যা ডিম পাড়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু শান্ত, নরম সংগীত তাদের মনকে শান্ত করে, এবং তা উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক হয়।
একটি খামারে দেখা গেছে, যেখানে প্রতিদিন সকালে মুরগিদের জন্য ১ ঘণ্টা করে ক্লাসিক্যাল মিউজিক বাজানো হয়, সেখানে অন্যান্য খামারের তুলনায় ২০-২৫% বেশি ডিম উৎপাদিত হচ্ছে।
‘চিকেন প্লেলিস্ট’ কীভাবে কাজ করে?
বেশির ভাগ খামারেই এখন মুরগিদের জন্য আলাদা করে নির্ধারিত প্লেলিস্ট চালু করা হয়েছে। সেই প্লেলিস্টে সাধারণত থাকে; মোতজার্টের, বিথোফেনের, নরম পিয়ানো বা হার্প সংগীত, পাখির ডাক, প্রাকৃতিক সাউন্ডস্কেপ। মুরগিরা গুছিয়ে বসে, মাথা দোলায়, কখনো চোখ আধা বন্ধ করে রাখে- এক অপূর্ব শান্ত পরিবেশ তৈরি হয় খামারে।
বিজ্ঞান কী বলছে?
এই বিষয়টি শুধু কৌতুক নয়, বরং অ্যানিমাল বিহেভিয়ার (প্রাণীর আচরণ) গবেষণায় একটি আলোচিত দৃষ্টান্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রাণীদের মুড ও পরিবেশ সরাসরি তাদের উৎপাদন ক্ষমতার সঙ্গে জড়িত। যেমন; গরুকে গান শোনালে দুধ বেশি হয়, মাছকে আলো বা শব্দ দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, আর এখন দেখা যাচ্ছে, মুরগিও সুরে সাড়া দেয়।