রাজধানীর মগবাজারে নির্মিত হতে যাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চু মিউজিয়াম। এর নাম হবে ‘আইয়ুব বাচ্চু মিউজিয়াম অ্যান্ড কালচারাল হাব’। ১০ কাঠা জমির ওপর গড়ে ওঠা এই জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকবে তার বর্ণাঢ্য জীবন, অসাধারণ সংগীতকর্ম ও শিল্পভুবনের নানান স্মৃতি। আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই তথ্য জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা। তিনি এই প্রকল্পের জন্য সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার আহ্বানও জানিয়েছেন।
ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি এবং প্রয়াত শিল্পীর দীর্ঘদিনের সহকর্মী আবদুল্লাহ আল মাসুদ জানিয়েছেন, এই জাদুঘরে শুধু আইয়ুব বাচ্চুর গিটার নয়, থাকবে রক আইকনের ব্যবহৃত টি-শার্ট, হ্যাট, ক্যাপ, রোদচশমা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র। সেখানে এবি কিচেনের আদলে একটি অত্যাধুনিক রেকর্ডিং স্টুডিও তৈরি করা হবে। দর্শনার্থীরা এখানে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির মাধ্যমে আইয়ুব বাচ্চুর কনসার্টের সরাসরি অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। এই বিশাল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রকল্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, জাদুঘরের পাশাপাশি সেখানে একটি মিউজিক্যাল ক্যাফে, একটি অত্যাধুনিক মিলনায়তন এবং নতুন প্রজন্মের সংগীতশিল্পীদের জন্য একটি উন্মুক্ত স্টুডিও থাকবে। এর মাধ্যমে তরুণ সংগীতপ্রেমীরা আইয়ুব বাচ্চুর জীবন ও সংগীতধারার সঙ্গে সরাসরি পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন।
এ ছাড়াও জাদুঘরের একটি বিশেষ অংশে আইয়ুব বাচ্চুর ব্যক্তিগত লাইব্রেরি থাকবে, যেখানে তার প্রিয় বই, গানের স্বরলিপি এবং অপ্রকাশিত পা-ুলিপি প্রদর্শিত হবে। এখানে নিয়মিতভাবে সেমিনার, কর্মশালা এবং সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, যা তরুণ শিল্পীদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে। জাদুঘরের নির্মাণশৈলীতে আধুনিক স্থাপত্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নকশার মিশ্রণ ঘটানো হবে, যা এর স্বতন্ত্র পরিচয় ফুটিয়ে তুলবে। আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশন আশা করছে, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের সংগীত ও সংস্কৃতি জগতে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।