চার বছরের শিশু হুমায়রা দেখতেও যেমন ফুটফুটে সুন্দর ঠিক তেমনি ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত চঞ্চল প্রকৃতির ছিলেন। রিমন ও শরিফা বেগম দম্পতির দুই মেয়ের মধ্যে হুমায়রা বড়। মাত্র চার বছর বয়সে ব্লাড ক্যানসার ধরা পরে হুমায়রা। এরপর থেকে হুমায়রার চিকিৎসা করাতে গিয়ে মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই থাকার ঘর ও বাড়ির জমিসহ সহায় সম্বল, যা ছিল সব হারিয়ে নিঃস্ব পুরো পরিবার। বর্তমানে টাকার অভাবে বন্ধ রয়েছে হুমায়রার চিকিৎসা। এখন চোখে ইনফেকশন হওয়ায় নষ্ট হতে চলছে শিশু হুমায়রার দৃষ্টিশক্তিও।
শিশু হুমায়রার বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামে। বাবা মো. রিমন মিয়া একজন অসহায় হতদরিদ্র দিনমজুর। অভাব অনটনের সংসারে মানুষের দ্বারে দ্বারে দিনমজুরের কাজ করে অবুঝ দুই কন্যাশিশুকে নিয়ে শ^শুরবাড়িতে কোনো রকমে বেঁচে আছে পরিবার পরিজন নিয়ে।
হুমায়রার বাবা রিমন বলেন, ডাক্তার বলেছে তাকে ভালো করার জন্য ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। দিনমজুরির কাজ করে কোনোরকম সংসার চালাই। আমার পক্ষে চিকিৎসার টাকা ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। আমার একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকার ঘর ও সামান্য ৩ শতক জমি যা ছিল সব বিক্রি করে মেয়েকে ঢাকায় চিকিৎসা করিয়েছি। যদি কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি আমার এই অবুঝ সন্তানের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তবেই হয়তো তার চিকিৎসা করাতে পারব।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান বলেন, দরিদ্র পরিবারের জন্য ব্যয়বহুল চিকিৎসা সম্ভব নয়। কোনো হৃদয়বান ব্যক্তির আর্থিক সাহায্য পেলে সুস্থ হতে পারে ব্লাড ক্যানসার আক্রান্ত হুমাইরা। নিরুপায় হুমাইরার মাশের মোবাইল নাম্বার ০১৩০১৪৯৬৭১৩।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, ‘শিশু হুমায়রার চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল। তার পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে অবশ্যই সহযোগিতা করা হবে। একই সঙ্গে আমি দেশের বৃত্তবান মানুষদের প্রতি আবেদন জানাই হতদরিদ্র শিশুটি পাশে দাঁড়িয়ে ওকে জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা করুন। এমন একটি কোমল প্রাণ কুরিতে ঝরে যাবে, এটা হতে পারে না।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন