রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের কাচালং নদী ভাঙনে প্রতিবছরই ভিটেমাটি হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ছেন স্থানীয়রা। নদীটির সৃষ্টি ১৯৫৯ সালে হলেও ধীরে ধীরে এর আকার-আকৃতি বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রায় ৫০-৬০টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সম্প্রতি নতুন করে আরও অন্তত ২৪টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। উজানের ঢল আর নদীর প্রবল স্রোতে প্রতিবছর তাদের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাইল্যাঘোনা এলাকার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মুনাফ ও আব্দুল আলম জানান, তাদেরসহ আত্মীয়-স্বজনের অনেকেই বারবার নদীভাঙনের শিকার হয়ে সব হারিয়েছেন। বর্তমানে গৃহহীন হয়ে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে দিশাহারা। সরকারের কাছে তাদের দাবি, নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা এবং নদীরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা। কিন্তু বছরের পর বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড জরিপ করলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।
অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত নবীর হোসেন ও মেহের আলী বলেন, ‘আমাদের এখন আর কোনো কূলকিনারা নেই। নদীভাঙনে সবকিছু হারিয়েছি। চাই, নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য স্থায়ী বাঁধ হোক। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের আন্তরিকতার অভাবেই আমরা অসহায়।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা মারজান মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি মিডিয়ার সামনে এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।