দূর থেকে দেখলে মনে হবে সবুজের সমারোহ। কাছে গেলেই নজর কাড়বে থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা একেকটি পেঁপেগাছ। প্রায় মাটি থেকে গাছের আগা পর্যন্ত শুধু পেঁপে আর পেঁপে। প্রতিটি গাছে এক মণ থেকে আড়াই মণ পর্যন্ত পেঁপে আছে।
ময়মনসিংহের নান্দাইলে শখের বসে পরীক্ষামূলকভাবে পেঁপে চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষক দুলাল মিয়া। মাত্র ১৫ শতক জমিতে পেঁপে চাষ করে সফলতার সঙ্গে লাভের মুখ দেখছেন। এ পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন তিনি। দুলাল মিয়া উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীরকামটখালী গ্রামের মৃত আজীম উদ্দিনের ছেলে।
সরেজমিন দুলাল মিয়ার পেঁপেখেতে গিয়ে দেখা যায়, বাগানের সারিবদ্ধ গাছে ঝুলছে ছোট-বড় সবুজ রঙের অসংখ্য পেঁপে। আকর্ষণীয় এসব পেঁপে ‘টপলেডি’ নামে পরিচিত। এ পেঁপে শুধু বাগানের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করেনি, সবুজে মোড়ানো পেঁপেতে স্বপ্ন দেখছেন দুলাল মিয়া।
দুলাল মিয়া জানান, শখের বশে পরীক্ষামূলকভাবে ১৫ শতক জমিতে উন্নত ফলনশীল টপলেডি পেঁপের চারা রোপণ করেছেন। গাজীপুর থেকে ২৪০টি পেঁপের চারা ১১ হাজার টাকায় কিনে আনেন তিনি। গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত পেঁপেতে ভরে গেছে গাছগুলো। পেঁপে ধরার দৃশ্য দেখে তিনি নিজেও অবাক হয়েছেন। ভালো ফলনে তিনি বেজায় খুশি। প্রতিটি পেঁপের আকৃতি অনেক বড় হয়েছে। একেকটি পেঁপের ওজন এক থেকে তিন কেজি পর্যন্ত।
তিনি আরও বলেন, শখের বসে আমি প্রথমবার পেঁপে চাষ করেছি। প্রথমবারই আমি সফলও হয়েছি। আমার বাগানে প্রচুর পেঁপে এসেছে। সম্পূর্ণ বাগানটি আমি স্থানীয় পাইকারের কাছে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। এতে আমি লাভবান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাঈমা সুলতানা বলেন, অন্য ফসলের তুলনায় পেঁপে চাষে খরচও তুলনামূলক কম। এ জন্য এলাকার অনেক কৃষক পেঁপে বাগান করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কৃষক দুলাল মিয়া পেঁপে চাষ করে লাভবান হয়েছেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে পেঁপে চাষে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছেন।