ঢাকা সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশেই অবৈধ চিকিৎসা ব্যবসা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০১:৪১ এএম

স্বাস্থ্যসেবা মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। কিন্তু সেই স্বাস্থ্য খাত এখন অনেকাংশে বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলার অনুমতি থাকলেও, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু একটি মহল গড়ে তুলেছে অনুমোদনবিহীন চিকিৎসাকেন্দ্র।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে গড়ে উঠেছে এমনই একটি প্রতিষ্ঠান, ‘মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার’। কোনো বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি বছরের পর বছর চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অদক্ষ লোকজন দিয়েই এখানে সিজারিয়ান অপারেশনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এমনকি একাধিক রোগী ভুল চিকিৎসায় প্রাণ হারিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সেন্টারের ম্যানেজার মো. নুর ইসলাম খাকি এবং এক নার্স শান্তা নিয়মিত অপারেশন করান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজার মো. নুর ইসলাম খাকি বলেন, ‘আমি নিজে অপারেশন করি না, তবে আমাদের লাইসেন্স আপডেট নেই, এটা সত্যি। আমরা আবেদন করেছি, সিভিল সার্জন অফিস থেকে কয়েকবার পরিদর্শনও হয়েছে।’

ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সুমন পোদ্দার বলেন, ‘সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩০০ গজের মধ্যে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে কি না, তা আমি এখনই বলতে পারছি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. রেহান উদ্দিন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমি মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিদর্শনে যাব। কাগজপত্রে ঘাটতি থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ধরনের অবৈধ ক্লিনিকের কারণে গর্ভবতী নারী ও নবজাতকের স্বাস্থ্যঝুঁকি মারাত্মকভাবে বেড়েছে। অদক্ষ চিকিৎসক ও নার্সের হাতে সেবা নেওয়ায় ঘটছে দুর্ঘটনা, কখনো মা ও শিশুর মৃত্যুও।