বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সাদুল্লাপুর বটতলা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় লুণ্ঠিত মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়। গত শনিবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার রহমান পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এর আগে ওই দিন সকালে রাজধানীর খিলক্ষেতের ডুমনি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার কর হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো- জয়পুরহাটের কালাই এলাকার মো. জলিলের ছেলে মো. জিসান (২০), একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে সৈকত (২০) এবং কালাইয়ের হাতিয়র ম-লপাড়া এলাকার মহির উদ্দিনের ছেলে মাহি ইসলাম (১৯)।
ওই কর্মকর্তা জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টা থেকে পরদিন সকাল ৭টার মধ্যে যেকোনো সময় সাদুল্লাপুর বটতলা গ্রামে নিহত রাণী বেগম (৪০) ও তার ছেলে ইমরান হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর ইমরানের ব্যবহৃত হিরো থ্রিলার মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
ঘটনার পর নিহতের বাবা বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকা থেকে আসামি মাহি ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যে লুণ্ঠিত মোটরসাইকেলটি নওগাঁ সদর মডেল থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর গত শনিবার সকালে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন ডুমনি বাজার এলাকা থেকে মামলার মূল আসামি জিসান ও সহযোগী সৈকতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছে, তারা নেশাগ্রস্ত ও ঋণগ্রস্ত ছিল। ঋণ পরিশোধের টাকা জোগাড় করতে তারা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী জিসানের মামাতো বোন নিহত রাণী বেগমের বাড়িতে যায়। সেখানে রাণীর ছেলে ইমরানের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিতে চাইলে ইমরান বাধা দেন। তখন আসামিরা দা দিয়ে ইমরানকে এলোপাতাড়ি কোপায়। ইমরানের চিৎকার শুনে পাশের ঘরে থাকা রাণী বেগম এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে তারা। পরে তারা মোটরসাইকেল ও গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং হত্যাকা-ে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।