পশ্চিম আকাশে সূর্য হেলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী রুহিতা পয়েন্টে হাজারো জেলে ও স্থানীয়রা উপস্থিত হয়ে দিনশেষের আনন্দ উপভোগ করেছেন। সূর্য ডুবার পরেই শুরু হয় পাথরঘাটার জেলেপল্লির এ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পল্লিটির জেলেরা ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ বলেশ্বর নদীর বিভিন্ন খাল ও স্লুইস এলাকায় ঝাঁপিয়ে মাছ শিকার করে। অনুষ্ঠানে তারা একাত্মতা ঘোষণা করেছেন এবং ভবিষ্যতে ঘোপজাল, বাধা জালসহ সব অবৈধ জালের বিরুদ্ধে সচেতন থাকার অঙ্গীকার করেছেন।
এসডিএফের সহযোগিতা এবং পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে রোববার রাতে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় হাওয়া সিনেমার গান পরিবেশিত হয়। স্থানীয় জেলেরা তাদের নিজস্ব কণ্ঠে গান পরিবেশন করে এবং জাল ও জলের রাজার কাব্য রচনা করে।
জেলে জাকির মুন্সি জানান, রুহিতা পয়েন্ট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এখনো শুরু হয়েছে। তবে জেলেদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেমন আনন্দ যোগ করেছে, তেমনি পর্যটন কেন্দ্রের পরিচয়ও বাড়িয়েছে। অপর জেলে ইব্রাহিম বলেন, ২২ দিনের ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময় আমরা অলস সময় পার করছি। নাট্য ও সিনেমার মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা পেয়েছি এবং পরিবারের সঙ্গে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছি।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের ভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এ ধরনের কার্যক্রমকে স্থানীয়রা প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেছেন।