ঢাকা বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে হাজারো মানুষের পারাপার

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০১:৪৫ এএম

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমরিয়াবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ গ্রাম দিয়ে বয়ে গেছে টংকাবতী খাল। সেই খালের ওপর কাঠ, বাঁশ দিয়ে তৈরি একটি নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে মহুরিপাড়া, ঘোনাপাড়া, চৌধুরীপাড়া, রাহাত আলীপাড়া, সৈয়দপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ।

প্রায় ১৫ বছর আগে সাঁকোটি নিজেদের অর্থায়নে তৈরি করেছিল এলাকাবাসী। বৃষ্টির সময় খালের পানিতে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে, তাই শুষ্ক মৌসুমে প্রতি বছর গ্রামবাসীকে নিজেদের টাকায় মেরামত করতে হয়। বৃষ্টির সময় ছাত্র-ছাত্রী ও বয়স্ক লোকজন চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। উত্তর আমরিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর আমরিয়াবাদ এম.বি. উচ্চ বিদ্যালয়, বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি অতিক্রম করে। সারা বছর এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাঁকোটির কাঠ ও বাঁশের কিছু অংশ গর্ত হয়ে গেছে। তবুও শত শত মানুষ, বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা সাঁকোটি ব্যবহার করে চলাচল করছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, খালের ওপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে তাদের কষ্ট না হয় এবং তারা সহজে স্কুল-কলেজে যেতে পারে।

এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী জানান, বৃষ্টির দিনগুলোতে আমাদের সাঁকো দিয়ে পারাপারে অনেক কষ্ট হয়, তা ছাড়া সকল মেম্বার, চেয়ারম্যান আমাদের শুধু আশ্বাস দিচ্ছেন, সেতু বানিয়ে দেননি।

এইচ.এস.সি পড়ুয়া এক ছাত্র জানান, আমরা ছোটবেলা থেকে এই সাঁকো দিয়ে স্কুল-কলেজে যাই, কিন্তু কেউ আমাদের কষ্ট কমানোর জন্য একটি সেতু বানিয়ে দেয়নি। সরকারের কাছে আমরা স্থায়ী একটা সেতু তৈরির জোর দাবি জানাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হেনা মোস্তফা জানান, আমি চাইলেও এত বড় কাজ সম্ভব নয়, কারণ একজন ইউপি সদস্যের এত টাকা বরাদ্দ হয় না। তবে সরকার সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি। লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ইরফান বানী মুনিরি জানান, ‘প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে সেতু তৈরি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’