আবার বার্সেলোনার জয়ের নায়ক বনে গেলেন রবার্ট লেভানডোভস্কি। তার গোলেই ঘরের মাঠে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা। আলভারো ওদ্রিওসোলার গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন জুল কুন্দে। পরে দ্বিতীয়ার্ধে শিরোপাধারীদের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন লেভানডোভস্কি। এ ম্যাচে চোট কাটিয়ে ফিরেই দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেন লামিনে ইয়ামাল। দারুণ জয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠেছে বার্সেলোনা।
আত্মবিশ^াসী শুরু করেও প্রথমে গোল খেয়ে বসে বার্সেলোনা। তাতে অবশ্য খেই হারায়নি তারা। আক্রমণাত্মক ফুটবলে সামলে ওঠে সেই ধাক্কা। রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে সরিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে বসল কোচ হান্সি ফ্লিকের দল। সাত ম্যাচে ছয় জয় ও এক ড্রয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে নেমে গেল রিয়াল। প্রথম আধ ঘণ্টায় ৮৫ শতাংশের বেশি সময় বল ছিল বার্সেলোনার দখলে! এই সময়ে আক্রমণেও আধিপত্য করে তারা; তিন শটের তিনটিই লক্ষ্যে থাকলেও সাফল্য মেলেনি। খেলার ধারার বিপরীতে ৩১ মিনিটে আচমকা এক গোলে বার্সেলোনাকে হতভম্ব করে দেয় সফরকারীরা। স্বদেশি ফরোয়ার্ড আন্দের বারেনেচেয়ার পাস ছয় গজ বক্সের বাইরে পেয়ে স্লাইড শটে বল জালে পাঠান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আলভারো ওদ্রিওসোলা। আট মিনিট পর আত্মঘাতী হতে বসেছিল সোসিয়েদাদ। জুল কুন্দের গোলমুখে বাড়ানো বল আটকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই পাঠাতে যাচ্ছিলেন ডিফেন্ডার ইগোর সুবিয়েলিদয়া।
দারুণ ক্ষিপ্রতায় আটকে দেন গোলরক্ষক আলেক্স রেমিরো। ফিরতি বলেও সুযোগ ছিল; কিন্তু পেদ্রির শট রক্ষণে প্রতিহত হয়। শুরুর মতো একইভাবে পজেশন ও আক্রমণে একচেটিয়া আধিপত্য ধরে রেখে ৪৩ মিনিটে জালের দেখা পায় বার্সেলোনা। বাঁ দিক থেকে মার্কাস র্যাশফোর্ডের কর্নারে হেডে সমতা টানেন ফরাসি ডিফেন্ডার কুন্দে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই শাণানো আক্রমণে দূর থেকে চেষ্টা করেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জেরার্দ মার্তিন। অল্পের জন্য সেটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫৮ মিনিটে ১৯ বছর বয়সি ফরোয়ার্ড রুনি বার্দগিকে তুলে চোট কাটিয়ে ফেরা ইয়ামালকে নামান বার্সেলোনা কোচ। এবং মাঠে নামার এক মিনিটের মধ্যে দলকে এগিয়ে নেওয়ায় ভূমিকা রাখেন তরুণ তারকা।
ডি-বক্সে ঢুকে একজনের চ্যালেঞ্জ সামলে ক্রস বাড়ান ইয়ামাল, আর হেডে গোলটি করেন লেভানডোভস্কি। প্রথমার্ধে গোলের জন্য সবচেয়ে বেশি তিনটি শট নেওয়া র্যাশফোর্ড ৭০ মিনিটে দূর থেকে আবার চেষ্টা করেন। এবার তার শট ঝাঁপিয়ে আটকান রেমিরো। চার মিনিট পর মাঝমাঠের কাছ থেকে বল পায়ে ছুটে, ডি-বক্সে ঢুকে বল জালে পাঠান ইয়ামাল; কিন্তু কিঞ্চিৎ ব্যবধানে অফসাইডে ছিলেন তিনি। ৮৪ মিনিটে ২৫ সেকেন্ডের ব্যবধানে দুই দলের দুটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয়। প্রথমে তাকেফুসা কুবোর শট ক্রসবারে বাধা পাওয়ার পর, প্রতি-আক্রমণে লেভানডোভস্কির শটও ক্রসবার কাঁপায়। বাকি সময়েও প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রেখে, মৌসুমে অপরাজেয় পথচলা ধরে রাখল কাতালান ক্লাবটি।