থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আরও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করছেন বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। গত ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে আফঈদা-ঋতুপর্ণারা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে হতাশা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্য তাদের। মূলত আগামী বছর অনুষ্ঠেয় এএফসি নারী এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা এখন থাইল্যান্ড সফর করছে।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচ হারের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান কোচ পিটার বাটলার। নিজেদের কয়েকজন খেলোয়াড়ের ‘শ্রদ্ধার ঘাটতি ও বাজে আচরণ’ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের চেয়ে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা স্বাগতিকেরা গত ম্যাচে প্রথম মিনিটেই এগিয়ে গিয়ে বিরতিতে যায়। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটের মাথায় তারা ব্যবধান দ্বিগুণ করে। আর শেষ দিকে নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট বাকি থাকতে তৃতীয় গোল করে বড় জয় নিশ্চিত করে দলটি। তারা পুরো ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোলরক্ষক রূপনা চাকমা একাধিক সেভ না করলে হারের ব্যবধান আরও বড় হতে পারত। তবে ব্যাঙ্ককের একটি বিশ^বিদ্যালয়ের মাঠে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ায় খেলার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইংলিশ কোচ বাটলার। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা টায়ার-ওয়ান প্রীতি ম্যাচ খেলেছি কি না, আমি জানি না। কারণ, আমরা একটা বিশ^বিদ্যালয়ের মাঠে খেলেছি, যেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ছিল না। এটা কোনো জাতীয় পর্যায়ের ম্যাচের মতো লাগছিল না। বরং বয়সভিত্তিক ম্যাচের মতো মনে হচ্ছিল। এমন ম্যাচ আয়োজনের সময় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে, যেন সবকিছু মানসম্মত হয়।’ অন্যদিকে, কোনো রাখঢাক না রেখেই খেলোয়াড়দের মানসিকতা ও শৃঙ্খলাবোধের অভাব নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন কোচ বাটলার।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, কয়েকজন খেলোয়াড় ভুল মানসিকতা নিয়ে এখানে এসেছে। আর আমি কোনো উদাসীনতা বরদাস্ত করব না। কেউ যদি আমার অধীনে খেলতে চায় এবং দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চায়, তাহলে তাদের এমন মনোভাব নিয়ে আসা চলবে না, যা জাতীয় দলের মানের সঙ্গে যায় না।’ ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডের সাবেক মিডফিল্ডার বাটলার এর আগে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের বিতর্কের জেরে কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন। তিনি সতর্ক করে দেন, প্রয়োজনে আবারও এমন কঠোর পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবেন না। নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী কোচ বাটলার বলেন, ‘যদি কেউ আমাকে পরীক্ষা করতে চায়, করুক। আগেও এমন হয়েছে, আবার হলেও আমি দৃঢ় থাকব। আমি কোনো ধরনের অসম্মান বা খারাপ আচরণ বরদাস্ত করব না।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন