মিচেল স্টার্ককে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়ে ক্রিকেটে আলো ছড়াচ্ছেন পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। যখন বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলছেন তিনি, তখন স্টার্ক তারকা বোলার। গতির সঙ্গে সুইংয়ের মিশেলে ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তোলা অস্ট্রেলিয়ান পেসারের বোলিং মনে ধরে যায় তরুণ আফ্রিদির। সেই থেকে তিনি বিশ্বকাপ বিজয়ী পেসারকে অনুসরণ করতে শুরু করেন। আর এভাবেই নিজের অজান্তে পাকিস্তানি পেসারের ক্যারিয়ারের ভিত গড়ায় ভূমিকা রাখেন স্টার্ক। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় স্টার্কের। সময়ের সঙ্গে সেরা বোলারদের একজন হয়ে ওঠেন তিনি। সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটে বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও গড়েন ৩৫ বছর বয়সি এই বোলার।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে যখন খেলছিলেন স্টার্ক, আফ্রিদির বয়স তখন ১৫, পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে খেলছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে আগুনঝরা বোলিং করেছিলেন স্টার্ক। আট ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম শিরোপা জয়ে রেখেছিলেন বড় অবদান। জিতেছিলেন টুর্নামেন্ট-সেরার পুরস্কার। সেই থেকেই স্টার্ককে অনুসরণ শুরু করেন আফ্রিদি। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় পা রাখা বাঁহাতি এই পেসার এখন পাকিস্তানের সেরা বোলারদের একজন। ৩৩ টেস্ট, ৭১ ও ৯৬ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন তিনি। তিন সংস্করণেই তার উইকেট একশর বেশি। অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় আছেন আফ্রিদি, ব্রিজবেন হিটের হয়ে। ম্যাচটি সামনে রেখে তার ক্যারিয়ারে স্টার্কের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন ২৫ বছর বয়সি পেসার। তিনি বলেন, ‘তিনি কিংবদন্তি। স্টার্কি যখন ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলছিলেন, তখন আমি পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে খেলছিলাম, তাই... তিনি যেভাবে বল সুইং করাচ্ছিলেন, আমি তাকে অনুকরণ করে অনেকবার বল করার চেষ্টা করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি পুরো বিশ্বকাপে ফুল লেংথে বল করছিলেন এবং খুব ভালো সাফল্য পেয়েছিলেন।’ চলমান অ্যাশেজেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছেন স্টার্ক। দুই টেস্টে এরই মধ্যে ধরেছেন ১৮ শিকার। দুই ম্যাচেই জিতেছেন সেরার পুরস্কার। ছন্দে থাকা স্টার্ককে এখনো অনুসরণ করেন আফ্রিদি। বললেন, সুযোগ পেলেই চেষ্টা করেন কথা বলার। তিনি বলেন, ‘শেষবার যখন তার সঙ্গে কথা হয়, তখন (২০১৫ সালে) তাকে দেখার কথা বলেছিলাম। আর সে কারণেই আমি ব্যাটসম্যানদের ফুল লেংথ বল করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি যেকোনো তরুণের জন্য একজন আদর্শ...অনেক বছর ধরেই তিনি অস্ট্রেলিয়ার সেরাদের একজন।’

