শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ০১:১২ পিএম

ত্রিশালে ধানীখোলায় কার্পেটিং সড়ক এখন নদীগর্ভে

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ০১:১২ পিএম

ধানীখোলা এলাকার একটি  কার্পেটিং সড়ক। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ধানীখোলা এলাকার একটি কার্পেটিং সড়ক। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্পেটিং সড়ক বৃষ্টির পানিতে ধসে পড়তে শুরু করেছে। ফলে, ধীরে ধীরে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হওয়ার পথে, আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ হাজারো স্থানীয় বাসিন্দা।

স্থানীয় ভ্যানচালক জমসেদ মিয়া বলেন, ‘সড়ক ধসের ফলে বেশি ভাড়া নিতে পারি না। গাড়ি ভাঙা দিয়া গেলে ভেঙে যায়। রাতে বেশি রিস্কে থাকি, কহন যেন ভ্যান লইয়া নদীর মধ্যে পইরা যাই।’

বৃষ্টিপাতের কারণে এবং মাছবাহী ভারী গাড়ি চলাচলের ফলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এখন আর কেউ সহজে এই সড়কে চলাচল করছেন না। কিছু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল থেমে থেমে চলাচল করছে, তবে যাত্রীদের মাঝপথে গাড়ি ঠেলে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধানীখোলা ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়িয়া উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এই অভ্যন্তরীণ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন শতাধিক ব্যাটারিচালিত ভ্যান, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও মালবাহী গাড়ি চলাচল করে এ পথে। প্রায় এক বছর আগে সড়কটি নতুনভাবে কার্পেটিং করা হলেও সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় উঁচু এলাকা থেকে পানি সরাসরি সড়কের নিচ দিয়ে লিকেজ হয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে, যার ফলে ধসে পড়ছে পুরো সড়ক।

স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেকদিন ধরে সড়ক ধসে পড়ছে, কিন্তু এখনো কেউ সমাধানে এগিয়ে আসেননি।’

নিয়মিত যাত্রী শামসুল হক বলেন, ‘প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। বৃষ্টির দিনে চলাফেরা আরও কষ্টকর হয়ে পড়ে। রোগী নিয়ে চলাচলে ভয়াবহ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। দ্রুত সড়ক মেরামতের দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল্লাহ খন্দকার জানান, ‘এরই মধ্যে ইউএনও স্যারকে নিয়ে ধসে যাওয়া সড়কটি পরিদর্শন করেছি। এলাকাটিতে বৃষ্টির পানি সরানোর নির্দিষ্ট কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ফলে সড়কের নিচ দিয়ে পানি নদীতে নামছে এবং সড়ক ধসে পড়ছে। দ্রুতই সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী বলেন, ‘ধসে যাওয়া সড়কের অংশটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। এলজিইডিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, বরাদ্দ পেলেই দ্রুত সড়কটি মেরামত করা হবে।’

Link copied!