শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আহাদ তালুকদার, আগৈলঝাড়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ১১:০৫ এএম

শাপলা বিক্রি করে চলে হাজারো সংসার

আহাদ তালুকদার, আগৈলঝাড়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ১১:০৫ এএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

শাপলা ফুল দেখতে যেমন সুন্দর, তরকারি হিসেবে খেতেও সুস্বাদু। দাম কম হওয়ায় নিম্নবিত্তদের কাছে এর চাহিদা অনেক। সুস্বাদু হওয়ায় ধনীরাও খায়। গ্রাম বাংলায় খাল কিংবা ডোবায় বর্ষার মৌসুমে দেখা মিলে এই ফুলের।

শাপলা সংগ্রহকারী আগৈলঝাড়া উপজেলার চেংগুটিয়া গ্রামের মুনিয়া জানান, প্রতিনিয়তই শাপলা উঠিয়ে বিক্রি করে আয় করেন। শাপলায় তাদের পরিবারের জীবন চলে। আগে বাজারে শাপলা বিক্রি করতেন। এখন গাড়ি এসে শাপলা নিয়ে যায়। এছারা স্থানীয় অনেকেই শাপলা বিক্রির টাকায় সংসার চালাচ্ছেন, ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পড়াচ্ছেন।

বর্ষা মৌসুমে আগে গ্রামাঞ্চলের নিম্নবিত্তরা শাপলা তুলে তা দিয়ে ভাজি ও ভর্তা করে খেত।

যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির কারণে এখন শহরের বাজারেও সহজলভ্য শাপলা। সুস্বাদু হওয়ায় শহরেও তাই চাহিদা বাড়ছে।

খাবার হিসেবে যেমনই হোক বর্ষা মৌসুমে গৌরনদী-আগৈলঝাড়াসহ বিভিন্ন উপজেলার হাজারো পরিবারের জীবিকার প্রধান মাধ্যম এই শাপলা। বিল থেকে শাপলা তুলে এসব পরিবার সংসারের নিত্য খরচ মিটিয়ে কিছু সঞ্চয়ও করে। বছরে দুই থেকে তিন মাস শাপলা বিক্রি করেই চলে এসব পরিবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল আগৈলঝাড়া চেংগুটিয়া বিভিন্ন কৃষক ও দিনমজুররা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খাল-বিল ও বিস্তীর্ণ জমিতে জন্মানো শাপলা তুলে নৌকায় করে নিয়ে আসে। এরপর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে বিক্রি করেন।

বিকেলের দিকে পাইকাররা গিয়ে সেগুলো কিনে রাজধানীর বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ে যান।

শাপলা ফুল সাধারণত জ্যৈষ্ঠ থেকে শুরু করে কার্তিক মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। বহু বছর ধরে জেলার প্রতিটি উপজেলায় এ পেশাটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন অনেকেই শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

তাকিব হোসেন জানান, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ আঁটি শাপলা সংগ্রহ করেন। এবার বর্ষাকালে বৃষ্টি কম হওয়ায় শাপলা উৎপাদন কম হয়েছে। যত পানি বেশি হবে শাপলাও বেশি হবে।

তিনি আরও জানান, পাইকাররা তাদের কাছ থেকে এসব শাপলা সংগ্রহ করে এক জায়গায় করেন। রাতে রওনা দিয়ে সকালে ঢাকার পাইকারি বাজারে এগুলো বিক্রি করেন।

স্থানীয় এরশাদ হাওলাদার জানান, বর্ষা মৌসুমে পানিতে ডুবে থাকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের চেংগুটিয়া সাজুরিয়ার  বিলটি। এ বিলে কয়েক শ পরিবার শাপলা কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।

বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে জানা গেছে, ভোর ৫টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বিলে শাপলা তোলা হয়। প্রায় ৬০-৭০টি শাপলায় করা হয় একটি আঁটি। এসব আঁটি পাইকাররা কেনেন ৫০-৬০ টাকায়।

২০টি শাপলার আঁটিও বিক্রি করা হয়। এগুলো মূলত স্থানীয় লোকজন কেনেন ১০ টাকায়। দৈনিক একজন কমপক্ষে ৫০ আঁটি শাপলা তুলতে পারেন।

আগৈলঝাড়া-গৌরনদী প্রতিদিন শাপলা সংগ্রহ করে ৮-১০টি পিকআপ ভ্যান রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে যায়।

আগৈলঝাড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা বাবু পিযুষ রায় জানান, বর্ষায় প্রাকৃতিকভাবেই শাপলা ফোটে। যেহেতু বর্ষায় জেলার অধিকাংশ জমিতেই পানি থাকে, এ জন্য প্রচুর শাপলা হয়। বহু কৃষক এসব শাপলা তুলে জীবিকা নির্বাহ করেন। যদি ঠিকমতো সংগ্রহ করে বাজারজাত করা যায়, তবে এটিও আয়ের ভালো উৎস হতে পারে।

আরবি/জেডআর

Shera Lather
Link copied!