কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে পৃথক দুটি অভিযানে ৯০ হাজার পিস ইয়াবা ও ২৮ কেজি গাঁজাসহ তিনজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটককৃতদের মধ্যে দুইজন নারী রয়েছেন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল গভীর রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন, মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে একটি বড় মাদক চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে অধিনায়কের পরিকল্পনা ও সরাসরি তদারকিতে বিজিবির একাধিক টহলদল নাফ নদী ও তীরবর্তী এলাকায় এবং মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন অঞ্চলে কৌশলগত অবস্থানে মোতায়েন করা হয়।
পরবর্তীতে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে ১ জুলাই ভোরে খবর আসে যে, মাদকের চালানটি টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের আলীর ডেইল এলাকার একটি বাড়িতে গোপনে মজুদ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সকাল ৬টার দিকে সেখানে চিরুনি অভিযান চালিয়ে মিনারা বেগম (৩৫) ও মো. কেফায়েত উল্লাহ (১৯)-কে আটক করে বিজিবি। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
আটক মিনারা বেগম সাবরাং আলীর ডেইলের মৃত ছিদ্দিকের কন্যা এবং কেফায়েত উল্লাহ একই এলাকার ফরিদ আলমের পুত্র। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, একই দিনে বিজিবির অপর একটি আভিযানিক দল সাবরাং ইউনিয়নের খুরেরমুখ এলাকায় অভিযান চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে, জমিলা বেগম নামের এক নারীর বাড়িতে গাঁজা মজুদ রয়েছে। পরে তার বাড়ির মুরগির খামার থেকে গোপনে রাখা ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং জমিলা বেগমকে আটক করা হয়। তিনি মৃত আলী আহমেদের স্ত্রী বলে জানা গেছে। তাকেও টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক নির্মূলে বিজিবি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। ভবিষ্যতেও জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’