ঢাকা রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

কুমিল্লায় নারী ধর্ষণের ঘটনায় বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৫, ১১:০৫ এএম
কুমিল্লায় নারী ধর্ষণের ঘটনায় বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় নতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর বাড়ি থেকে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ১০টার দিকে ফজর আলী তার ঘরের দরজায় এসে ডাকেন। তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে ফজর আলী জোর করে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।

ধর্ষণের শিকার নারী জানায়, টাকা ধার নেওয়া সংক্রান্ত পরিচয়ের সূত্র ধরে ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পরিবারের যোগাযোগ ছিল। সেই পরিচয়কে কাজে লাগিয়েই তিনি ওই রাতে বাড়িতে ঢোকেন।

পাশের বাড়ির এক বাসিন্দা বলেন, ‘রাতে ওই ঘরে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শুনে আমরা লোকজন নিয়ে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি দরজা ভাঙা। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।’

স্থানীয়দের একজন জানান, ঘটনার সময় এলাকাবাসী ফজর আলীকে আটক করে মারধর করেন। তাকে কুমিল্লা শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার জন্ম নেয়। 

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু নামের চারজনকে। তারা সবাই মুরাদনগর উপজেলার পাঁচকিত্তা গ্রামের বাসিন্দা।

কুমিল্লা জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ জুন রাতে বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ফজর আলীকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা। আহত অবস্থায় পালানোর পর শেষমেশ ঢাকায় গিয়ে ধরা পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি ভুক্তভোগীর ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে আরও সমালোচনা তৈরি হয়।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনায় ভিডিও ভাইরাল করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।