দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি লাভের জন্য আল্লাহর জমিনে আল্লাহর নিজাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি অর্জন ও জান্নাত হাসিলের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ ত্যাগ ও প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার (২০ জুন) রাজধানীর মিরপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে মিরপুর, পল্লবী ও কাফরুল জোন জামায়াত আয়োজিত যৌথ রুকন শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ঐচ্ছিক নয়, বরং প্রত্যেক মুমিনের ওপর ফরজ করা হয়েছে। এটা কোনো অবিশ্বাসী বা কাফিরের ওপর ফরজ নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য ইসলামকেই পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। পবিত্র কুরআন আমাদের জীবন চলার পথনির্দেশ। সত্যিকার মোত্তাকীরাই কুরআন থেকে উপকৃত হতে পারে। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য আমাদের সকলকে আল্লাহর বিধান ও রাসূল (সা.)-এর আদর্শের ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত যেমন ফরজ, তেমনি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলাম অনুসরণ করাও ফরজ। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে মানবজীবনের সকল সমস্যার ন্যায়সঙ্গত সমাধান রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আনুগত্যের সর্বোত্তম নমুনা হচ্ছে রাসূল (সা.)-এর জীবনদর্শন। তাই জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান ও রাসূল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রত্যেক মুমিনের জীবন উদ্দেশ্যই হচ্ছে দ্বীন প্রতিষ্ঠা। আল্লাহ তাআলা বাতিলের ওপর দ্বীনের বিজয়ের দায়িত্ব নবী-রাসূলগণের মাধ্যমে মানবজাতির ওপর অর্পণ করেছেন। সেই ধারাবাহিক দায়িত্ব আজ আমাদের ওপরও রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জুলুম-নির্যাতন ইসলামী আন্দোলনের নিত্যসঙ্গী। বাতিলের রক্তচক্ষুকে ভয় না পেয়ে সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে দ্বীন বিজয়ের জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’
তিনি দেশে ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় রুকনসহ ইসলামী আন্দোলনের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের ময়দানে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
শিক্ষাশিবিরের সঞ্চালনায় ছিলেন মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।
এতে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এ টি এম আজহারুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত, এবং মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মুফতি ড. মাওলানা আবুল কালাম আযাদ বাশার।
