কুষ্টিয়ায় স্ত্রী ঊর্মি খাতুনকে (৩৫) শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামী রানা পলাতক রয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে শহরের হাউজিং এফ ব্লক এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ৩৫ বছর বয়সি ঊর্মি খাতুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মহিম মণ্ডলের মেয়ে এবং মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রানা খানের স্ত্রী।
জানা যায়, নিহত ঊর্মি খাতুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মহিম মন্ডলের মেয়ে। ৫ বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রানা খানের সাথে ঊর্মির দ্বিতীয় বিয়ে হয়। স্বামী-স্ত্রী কাপড়ের ও খাবারের দোকানের ব্যবসা করতেন।
নিহত গৃহবধূর ভাই আবু সাইদ অভিযোগ করে বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রানা খানের সঙ্গে ঊর্মির দ্বিতীয় বিয়ে হয়। রানা মাদক সেবন করেন। এ জন্য বেশ কয়েকবার কারাগারেও ছিলেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ছিল। পারিবারিক কলহের জেরে মারধর ও শ্বাসরোধে ঊর্মিকে হত্যা করা হয়েছে। ভাড়া বাসায় ঊর্মিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন রানা। ঊর্মির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। থানায় মামলা করা হবে।’
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর বিরুদ্ধে ঊর্মি হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বামী পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করতে কাজ করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’