ঢাকা সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

পরোটা খাওয়া নিয়ে বিরোধ; লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় ছাত্রদল নেতা আহত 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রদল নেতা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় মো. শাহাদাত হোসেন নামে এক ছাত্রদল নেতা গুরুতর আহত হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শাহাদাত হোসেন বশিকপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডস্থ রশিদপুর এলাকার আবদুল হাই মুন্সি বাড়ির আমিন উল্লাহর ছেলে ও বশিকপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী।

অভিযুক্তরা হলেন- একই ইউনিয়নের মো. জীবন, তার বাবা ও জীবনের ৫ থেকে ৬ জন অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শী সিয়াম আহমেদ জানান, বশিকপুরের রশিদপুর বাজারে শাহাদাতকে একা পেয়ে জীবনরা মারধর করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, শাহাদাতকে জীবন ও তার অনুসারীরা মারধর করে। পূর্বে জীবন ছাত্রলীগ করত। এখন কথিত ছাত্রদল নেতা ডিএক্স সাগর গ্রুপের সদস্য। বশিকপুরে বড় একটি গ্রুপ রয়েছে তাদের। যাদের কাজ হচ্ছে, মারামারি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপকর্ম।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহাদাত হোসেন বলেন, এলাকার ছোট ভাইদের সঙ্গে কিশোর গ্যাং সদস্য জীবনদের বিরোধ হয়। বিষয়টি নিয়ে ঘটনার সময় রশিদপুর বাজারে একটি চা দোকানে কথা বলছি। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে জীবন, তার বাবা ও জীবনের ৫ থেকে ৬ জন অনুসারী আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।

শাহাদাতের বড় ভাই আবদুল আহাদ বলেন, জীবন ও তার অনুসারীরা শাহাদাতকে মারধর করেছে। মাথায় ও বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়েছে। এতে সে মারাত্মক আহত হয়। বিষয়টির প্রতিকারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, জীবন গণঅভ্যুত্থানের আগে আওয়ামী লীগ করেছে। এখন কথিত বিএনপির লোকদের সঙ্গে চলাফেরা করে। এলাকায় সে তার অনুসারীদের নিয়ে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়ায়। এতে বিএনপির বদনাম হচ্ছে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, শাহাদাতের মাথা ও বুকে রক্তাক্ত জখম রয়েছে। আঘাত গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসা শেষে তাকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, পরোটা খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তারা এলাকায় বসে সমাধান করে নেবে। তবুও যদি কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।