ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। একইসঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে দেড় লাখ পুলিশ। এ ছাড়া সারা দেশে দায়িত্ব পালন করবে সাড়ে ৫ লাখ আনসার।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান ইসি সচিব।
আখতার আহমেদ বলেন, সবাই অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চান। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনে কোনো উদ্বেগ নেই। সেনাবাহিনী বর্তমানে যেভাবে আছে অর্থাৎ ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারেই থাকবে। এ ছাড়া আরপিও অনুযায়ী যেভাবে প্রস্তাব এসেছে সেভাবেও মোতায়েন হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে ১ লাখ সেনা সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। পুলিশ কাজ করবে দেড় লাখ। আরও বেশি সদস্য আসবে আনসার থেকে। সর্বমোট প্রায় ৬ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। নির্বাচনি প্রচারে ড্রোন ব্যবহার করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন।
আগে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পাঁচ দিনের জন্য মোতায়েন করা হতো। এবার আট দিনের জন্য মোতায়েনের প্রস্তাবনা এসেছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব। তিনি বলেন, ‘প্রস্তাব হলো, ভোটের আগের তিন দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে চার দিন মোতায়েনের, এটা আমরা পরীক্ষা করে দেখব।’