ঢাকা সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

বরগুনায় জেলেদের চাল আত্মসাৎ নিয়ে অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন 

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম
ভূক্তভোগী জেলেরা । ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বরগুনার আমতলীতে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে জেলেদের জন্য মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দকৃত ভিজিএফ খাদ্যশস্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

জেলেদের দাবী, টিপসই নিয়ে তালিকাভুক্ত জেলেদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে চাল দিয়ে বাকি চাল আত্মসাৎ করেছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। একদিকে মাছ ধরা বন্ধ অন্যদিকে সহয়তার চাল না পেয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

জানা গেছে, আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এই বছরে ৬৪২ উপকার ভোগীদের মধ্যে ১৬ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করার কথা। জেলেদের এই চাল বিতরণ করতে নানা অনিয়ম ও আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে উপকারভোগী মিলন হাওলাদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেন।

নিবন্ধিত জেলে মিলন হাওলাদার তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদে ৬০২ জন জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ কথা থাকলেও ৩০০ থেকে ৩৫০ জন কার্ডধারীর মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়। বাকি জেলেদের টিপসই নিয়ে চাল বিতরণ না করে আত্মসাৎ করা হয়। এ বিষয়ে ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদের কাছে গেলে বলেন জেলেদের বরাদ্দ সকল চাল বিতরণ হয়ে গেছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ মুঠোফোনে বলেন, চাওড়ায় ৬৪২ জন জেলেদের জন্য ৬.৫০ মে. টন চাল গত ৭ অক্টোবর বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণকালে সরকার থেকে প্রতিনিধি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। চাওড়া ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণে কোনো অনিয়ম হয়নি। 

চাল বিতরণে সরকারের প্রতিনিধি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, চাওড়া ইউনিয়নে জেলেদের ভিজিএফ চাল বিতরণে কোনো অনিয়ম হয়নি। তিনি যতক্ষণ উপস্থিত ছিলেন নিয়মমাফিক বিতরণ হয়েছে। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার দাশকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘জেলেদের চাল অনিয়ম নিয়ে আবেদন পেয়েছি। এর সত্যতা যাচাই করতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে সভাপতি করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসিন বলেন, ‘এ বছর নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার জেলেদের জন্য চাল বরাদ্দ হয়। যারা সমুদ্রগামী ইলিশ ধরা জেলে তারা সবাই চাল পেয়েছে। যেহেতু এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে তাদের রিপোর্টে কারও বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।’