মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কালীগঙ্গা নদীর তরা বালুমহালে নির্ধারিত সীমানার বাইরে প্রতিদিন ছয় থেকে আটটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদী পাড়ের বসতভিটা, বিদ্যালয়, মসজিদ ও মন্দির হুমকির মুখে পড়ে। স্থানীয়দের দুর্ভোগ ও ক্ষোভ নিয়ে গত রোববার দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মুনতাসির মামুন মনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ ভঙ্গের দায়ে ইজারাকৃত প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিজু এন্টারপ্রাইজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার বালুমহালের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেন। একই সঙ্গে নির্ধারিত সীমানার বাইরে বালু উত্তোলন না করার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। নিয়ম অমান্য করলে আরও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় প্রশাসন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙনের ঝুঁকি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বসতবাড়ি হারানোর পাশাপাশি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও বিপদের মুখে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, প্রশাসন আগে ব্যবস্থা নিলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা কমানো যেত।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মুনতাসির মামুন মনি জানান, নদী পাড়ের মানুষের জীবন-সম্পদ রক্ষায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে। নির্ধারিত সীমানার বাইরে গিয়ে কেউ বালু উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন