কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১২ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের আটক করে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির দিয়াডাঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা, এবং পরে ভূরুঙ্গামারী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
শনিবার (২৪ মে) উপজেলার ভাষানীর মোড় থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৫ জন নারী ও ৩ জন শিশু রয়েছে। তারা হলেন: আব্দুল মজিদ (৪২), হালালী বেগম (৩৬), হালাল মিয়া (২০), আতাউর রহমান (৩৮), আনোয়ারা বেগম (৩৫), আল আমিন (১৯), আরজিনা খাতুন (১৬), আহসান হাবিব (২৭), গুলেনুর বেগম (৪০), মনিষা বেগম (২০), আবু বক্কর সিদ্দিক (৯ মাস), এনামূল হক (৪০), মর্জিনা বেগম (৩০), ইদুল হাসান (১৬)। তাদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায়।
আটককৃতরা জানান, তারা দীর্ঘদিন আগে কাজের সন্ধানে ভারতে গিয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে তাদেরকে আটক করা হয়। এরপর শুক্রবার গভীর রাতে ভূরুঙ্গামারীর সীমান্তের কোনো এক স্থান দিয়ে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়।
সীমান্ত থেকে ভূরুঙ্গামারী সদরের দিকে আসার সময় কামাত আঙ্গারিয়া ভাসানীর মোড় থেকে বিজিবি তাদের আটক করে।
এ ছাড়া একই রাতে কচাকাটা থানা এলাকার কেদার ইউনিয়নে শোভারকুটি সীমান্ত দিয়ে দুইজন পুরুষ, দুইজন নারী ও তিন শিশু এবং বলদিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গালীরকুটি সীমান্ত দিয়ে এক নারী ও দুই শিশুকে শুক্রবার রাতে ঠেলে দেয় বিএসএফ।
কেদার ইউনিয়নের ৯নং ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া এবং বলদিয়া ইউনিয়ন আনসার ভিডিপি কমান্ডার আব্দুল মান্নান এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-হেলাল মাহমুদ বলেন, ‘সীমান্ত থেকে ১২ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করে বিজিবি। শনিবার বিকেলে আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তারা সবাই ফুলবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’