গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত ইসরায়েল ৯৪০টি জাহাজ ও বিমান বোঝাই করে মার্কিন অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের চালান পেয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে মোট ৯০,০০০ টনের বেশি সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছেছে। এর মধ্যে রয়েছে গোলাবারুদ, সাঁজোয়া যান, ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং চিকিৎসা সরবরাহ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে ৮০০তম অস্ত্রবাহী বিমান ইসরায়েলে অবতরণ করেছে বলে জানানো হয়। এই অস্ত্র সরবরাহ শুরু হয় গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন রাজনীতির মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চললেও যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ধারাবাহিক এই অস্ত্র সহায়তা এসেছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান বারবার উপেক্ষা করে ইসরায়েল ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ধারাবাহিকভাবে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এই আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৫৪,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এই সংঘাত নিয়ে প্রতিক্রিয়া তীব্র হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাছাড়া, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল সহায়তার মধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান চাপ, মানবিক সংকট আর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, ওয়াশিংটনের সমর্থনেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব।