ঢাকা শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী আহত, বিক্ষোভে উত্তাল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

নজরুল (বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন এলাকায় রিক্সায় যাওয়ার পথে রিক্সাকে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় একটি সিএনজি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের দুইজন শিক্ষার্থী এবং রিক্সাচালক।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- নাট্যকলা ও পরিবেশনাবিদ্যা বিভাগের  ১৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী শাশ্বত গোলদার অন্তু এবং ১৯ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মুহিত। রিক্সায় ধাক্কা লাগার পর রিক্সা থেকে পড়ে যেয়ে শাশ্বত গোলদার অন্তুর হাত ভেঙে যায়। তারা উভয়ই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এছাড়াও এ ঘটনায় রিক্সাচালক ও গুরুতর আহত হয়। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

খবরটি জানাজানির পর তৎক্ষনাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় গেটে উপস্থিত হয় এবং তারা ৯ টি সিএনজি আটক করে শিউলিমালা হলের সামনের রাস্তায় রাখে। একই সাথে তারা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে। ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল বডি এসে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয়নি। প্রক্টরিয়াল বডির সামনের তারা স্লোগান দিতে থাকে, 'আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই'।

বিক্ষোভে উপস্থিত শিক্ষার্থী শাহিন আলম বলেন, আমরা যেসব সিএনজি আটক করেছি সেই সব সিএনজি এখানেই থাকবে। এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কেউ এই সিএনজি নিয়ে যেতে পারবে না। আমাদের স্যার'রা আছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে আশা করি তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এর সমাধান করবে।

আরেক শিক্ষার্থী সাজিদ হোসেন বলেন, আমরা এই ঘটনার বিচার আজকেই চাই। আমরা আমাদের নিরাপত্তা চাই। আর এ ধরণের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে সেজন্য প্রশাসনকে আজকেই সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় একদল শিক্ষার্থী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সাথে কথা বলে এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা জানায়।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের পক্ষ হতে ৯ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

১) অভিযুক্ত সিএনজি ড্রাইভারের লাইসেন্স (যদি থাকে) বাতিল করতে হবে

২) যথাপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩) আহত ২ জন শিক্ষার্থী এবং আহত রিক্সাচালকের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে।

৪) ৩ লক্ষ টাকা সমমূল্যের ল্যাপটপ, ফোন এবং রিক্সার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৫) সমস্ত দাবি পূরণের পর আটককৃত সিএনজি ছাড়া হবে।

৬) সিএনজি চালক ক্ষতিপূরণ দিতে অপারগ হলে মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষ এই ক্ষতিপূরণের দায়ভার নিবে। অন্যথায় সিএনজি গুলো ছাড়া হবে না।

৭) ক্যাম্পাসের ভেতর বহিরাগতদের বাইক প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে।

৮) ক্যম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৯) কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব পালনে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবি শুনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।