সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খানকে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এর ৪৩.০০.০০০০.১১২.১৮.৩২৯.১৬.৮৬৭ সংখ্যক অফিস আদেশে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খানকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার তিনি এই পদে যোগ দেন।
যোগদানের অংশ হিসেবে দুপুরে একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি। এ সময় একাডেমির কর্মকর্তা, শিল্পী ও কর্মচারীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) মু. বিল্লাল হোসেন খান, উপসচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা শাখা-২ এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব শিল্পকলা শাখা) মৌসুমী সরকার রাখী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও অর্থ উপবিভাগের উপ-পরিচালক সরকার জিয়া উদ্দিন আহাম্মদ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক আব্দুল হালিম চঞ্চল, সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান, প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক এ এফ এম নুরুর রহমান, চারুকলা বিভাগের পরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রদ্যোত কুমার দাস, প্রশিক্ষণ বিভাগের সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর (নাট্যকলা) ড. আইরিন পারভীন লোপা, সংগীত নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের উপ-পরিচালক বেগম শামীমা আক্তার জাহান, প্রশাসন বিভাগের উপপরিচালক জি. এম. জাকির হোসেন প্রমুখ।
নবনিযুক্ত মহাপরিচালক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যেহেতু একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান তাই সারা দেশের সংস্কৃতি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা অপসংস্কৃতির কথা বলছি না। সংস্কৃতি মানে হলো মানুষের মধ্যে যে নান্দনিকতা অথবা অমঙ্গলের বিরুদ্ধে যে মঙ্গল অথবা অশান্তির বিরুদ্ধে যে শান্তি, মানুষে মানুষে বিভেদ দূর করে তাদের মধ্যে এক ধরণের সম্প্রীতি তৈরি করা। এ সবকিছুর জন্য সংস্কৃতি চর্চার ভীষণ প্রয়োজন। একজন শিল্পী যখন শৈল্পিকতার মাধ্যমে তার পরিবেশনা উপস্থাপন করে সেগুলো মানুষকে আপ্লুত করে, মানুষকে হৃদয়ের কাছাকাছি যাওয়ার একটা জায়গা করে দেয়। তাই আপনারা যারা শিল্পকলা একাডেমিতে আছেন এটাকে শুধুমাত্র একটা চাকরি না ধরে যদি আপনারা এটাকে মিশন এবং ভিশন এই দুটোকে একত্রিত করে বাংলাদেশের মানুষকে অপসংস্কৃতির হাত থেকে দূরে এনে সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে পারেন এবং এই ধারাটা বজায় রাখতে পারেন তাহলে খুবই ভালো হয়।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন