শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ১০:০৪ পিএম

মতামত

নয়ন কেন সিস্টেমেটিক্যালি টার্গেটেড হবে?

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ১০:০৪ পিএম

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের  সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়ন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়ন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বিএনপিতে যারাই অতি যোগ‍্য হয়ে উঠছে, যারাই বিএনপিকে ইম্পেক্টফুল কিছু দিতে সক্ষম হবেন বা যাদের দ্বারাই বিএনপি তাদের পুরোনো শক্তি ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে—তাদেরকেই সিস্টেমেটিক্যালি নেগেটিভ লেভেলিং ও মিথ‍্যা অপবাদ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাদের ক্লিন ইমেজ ও সুনাম ধ্বংস করার মাধ্যমে বিএনপি থেকে দূরে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে; আর সেই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে বিএনপিও দিশাহারা।

এ সিস্টেমেটিক্যালি রবিউল ইসলাম নয়ন—সদস্যসচিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল। নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক সাহসী, অকুতোভয় ও আপসহীন যুবনেতার ছবি—যার সমগ্র জীবন সংগ্রামে ভরা। কোনো অপরাধই গ্রহণযোগ্য নয়, তবে ছোটখাটো ভুল বা অপরাধকে কেন্দ্র কের যখন প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন‍্য উঠেপড়ে লাগে তখন স্রোতের বিপরীতে যেতে হলেও সত্য প্রকাশ করতে হবে। 

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের আন্দোলনে তার কঠোর অবস্থান ও সাহসী ভূমিকার কারণে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ইন্ধনে ডিআইজি হারুনের নেতৃত্বে তাকে ক্রসফায়ারের (বিচারবহির্ভূত হত্যা) টার্গেট বানানো হয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকার তাকে ‘শুট টু কিল’ করার নির্দেশ দিয়েছিল! ২০১৪ সালে রাজপথে তরুণ ছাত্রনেতা হিসেবে তার ভূমিকা আমি সচক্ষে দেখেছি, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে তার প্রতি যে নির্মমতা হয়েছে—আমি নিজেই তার প্রত‍্যক্ষ সাক্ষী। 

প্রশ্ন থাকতে পারে—নয়ন কেন সিস্টেমেটিক্যালি টার্গেটেড হবে?

কারণ রাজনীতির মাঠে যে গুণগুলো দলকে সবচেয়ে বেশি লাভবান করে, তার অধিকাংশ গুণই নয়নের আছে—সে শুধু সাহসী নয়, রাজপথে তার নেতৃত্ব যথেষ্ট শক্তিশালী, আমাদের মধ্যে অনেক সাহসী নেতা আছেন, কিন্তু মাঠের কর্মীদের মধ্যে নয়নের মতো সক্রিয় ও জনপ্রিয় নন; দলের প্রয়োজনে—নয়ন মুহূর্তেই রাজপথে হাজার হাজার কর্মী জড়ো করতে পারবেন, যা অন‍্য যেকোনো বিরোধী দলের জন‍্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ আর সে কারণেই নয়নকে আওয়ামী লীগ সরকার তার বিশেষ টার্গেটে পরিণত করেছিল। এমন আর একজন পাবেন যাকে শেখ হাসিনা গং নয়নের মতো করে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন? 

১২টি বছর ধরে নয়ন রাজপথে সংগ্রাম করে গেছে। পুলিশের গুলিতে একবার প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল, গুলিবিদ্ধ ও মারাত্মক জখম অবস্থায় পুলিশ তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিল। রিমান্ডের নামে তার হাতের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছিল, অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করেও সে টাকার কাছে মাথা নত করেনি। এমন একজন মানুষকে আজ ‘চাঁদাবাজ’ বলে লেবেলিং করা হচ্ছে—এটা কি ন্যায্য? (আমি যেহেতু তাকে কাছ থেকে দেখছি তাই এসব অভিযোগ ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই মনে করি না)।

২০১৪ সাল থেকে অদ্যাবধি আমি নিজে বহুবার নয়নকে আর্থিক সহায়তা দিতে চেয়েছি, কিন্তু সে কখনো সহজে নেয়নি। বরং বলত, ‘বড় ভাই, খালি দোয়া করলেই হবে। যদি ক্রসফায়ারের কোনো খবর পান, আমাকে সতর্ক করবেন।’ বছরের পর বছর পালিয়ে বেড়াইছে, ধরা পড়ার ভয়ে কোথাও খেতেও যায়নি, কখনো কখনো ক্ষুধার্ত অবস্থায় আমার বাসায় আসছে, শুধু খাবার খেয়েই চলে যেত, তার মধ্যে বিন্দুমাত্র লোভ দেখিনি—আজ সেই ছেলেকে নিয়ে এমন অপপ্রচার দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি। যে মানুষটি এত ত‍্যাগ করেছে, এমন নিঃস্বার্থ ও ত‍্যাগী ছেলেটি আজ মিডিয়া ও কিছু মহলের টার্গেট!

হ্যাঁ, হয়তো সে সময় টিভি অফিসে গিয়েছিল রাগ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে। কিন্তু তাই বলে কি তার অতীতের সব ত্যাগ, সংগ্রাম ও অবদান মুছে ফেলা উচিত? তার বয়স এখনো কম, ভুল হলে তাকে সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এমন হিংসাত্মক প্রচারণা চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। 

এটা খুবই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক যে, নিজ দলে ও কর্মীদের মধ্যে অতি সক্রিয় ও জনপ্রিয় হওয়ার কারণে নয়নের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে তারই দলের কতিপয় নেতা-সহযোদ্ধা আজ তারই বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে—আর এই সুযোগে ‘গোল্ড ফিশ’ টাইপ মেমোরির বাঙালি জাতি হুজুগে মাতাল হয়ে তা মেনে নিচ্ছেন।

আমি জানি, এই লেখা পড়ে অনেকেই হতবাক হবেন। কিন্তু সত্য কথা বলার জন্য আমাকে আজও স্রোতের বিপরীতে যেতেই হলো। নয়নের মতো সংগ্রামী যুবকদের অবদান ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

লেখক: রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!