জুলাই সনদ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুণগত পরিবর্তনের সূচনা করেছে। এটি শুধু একটি দলিল নয়, বরং বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনের নতুন অধ্যায় বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি জননেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।
রোববার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণশক্তি সভা আয়োজিত ‘জুলাই যোদ্ধাদের আকাঙ্ক্ষা ও জুলাই সনদ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বাংলাদেশ বদলে দেওয়া সম্ভব। আমাদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি জবাবদিহিমূলক ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। সেই পরিবর্তনের প্রত্যাশায় এই জাতি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। এখন যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমাদের সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন গঠনমূলক ভূমিকা নিতে হবে। আমরা চাই একটি গ্রহণযোগ্য ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হলে আমাদের সজাগ থাকতে হবে, যেন দেশবাসীকে আমরা একটি গুণগত নির্বাচন উপহার দিতে পারি। গুণগত পরিবর্তনের জন্য আমাদেরকে আস্থার জায়গায় লড়তে হবে—অসৎ ও ধান্দাবাজদেরকে ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করতে হবে।
সাবেক সচিব ও কূটনীতিক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. মো. হেলাল উদ্দিন। সভা সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. দেওয়ান সাজ্জাদ।
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। যারা রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে, অঙ্গহানি সহ্য করেছে, তাদের অসম্মান করা চলবে না। অবিলম্বে গণভোটের আয়োজন করে জুলাই সনদকে আইনগত স্বীকৃতি দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, সাংবাদিক ও কলাম লেখক সাদেক রহমান, গণধিকার পরিষদের নেতা হাবিবুর রহমান রিজু, ড. হুমায়ুন কবির, ড. এ. আর. খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, অ্যাডভোকেট শেখ সাইফুদ্দিন ফিরোজ, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক এমরান চৌধুরী, নতুন ধারা জনতার পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ নূর, লেখক ও গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল, বিশিষ্ট গবেষক আয়েশা সিদ্দিকা, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার ও ইলা ইয়াসমিন।