ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫

শত ফোনেও সারজিস-হাসনাতকে পাওয়া যায়নি, শহীদের মায়ের আক্ষেপ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় আহত ও শহীদের স্বজনরা। ছবি- সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ আব্দুল্লাহ বিন জাহিদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। এমন অভিযোগ করেছেন তার মা ফাতেমা তুজ জোহরা। তিনি বলেন, জাতীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরও তাদের পরিবারের খোঁজ নেয়নি কেউ, এমনকি সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে শতবার ফোন করলেও তারা রিসিভ করেননি।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪, জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্যে ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, বড় ছেলের মৃত্যুর ১৪ দিনের মাথায় তার ছোট ছেলের (১৪) ক্যান্সার ধরা পড়ে, বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একই সময়ে গত ১৮ মে তার স্বামীও ব্রেন স্ট্রোকে মারা যান।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার থেকে সহানুভূতি ও সহায়তা পেয়েছি। তারাই আমার ছোট ছেলের চিকিৎসার খরচ দিচ্ছে। আগামী শুক্রবার তার আরেকটি অস্ত্রোপচার হবে। সবাই আমার সন্তানের জন্য দোয়া করবেন।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে যারা আজ ক্ষমতায়, তারা একবারও আমাদের খোঁজ নেয়নি। সারজিস-হাসনাতকে শতবার ফোন করলেও কোনো উত্তর পাইনি। বিএনপি পরিবার পাশে না থাকলে হয়তো আমার ছোট ছেলেও আজ বেঁচে থাকত না।’

আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সভায় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য সম্মানসূচক আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে এসব শহীদ পরিবারের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধার পরিকল্পনা করছে বিএনপি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, জাহিদ হোসেনসহ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ১৭ বছর বয়সি আব্দুল্লাহ।