ঢাকা সোমবার, ০৪ আগস্ট, ২০২৫

শিক্ষাব্যবস্থার ইসলামিকরণসহ বেশকিছু দাবি জামায়াতের

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
কথা বলছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান। ছবি- সংগৃহীত

দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার ও ইসলামিকরণের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

সোমবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জামায়াতে ইসলামী দলের একটি প্রতিনিধিদল। সেখানেই দাবি উপস্থাপন করা হয়।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান।

বৈঠক শেষে তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। অনৈতিক ও ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি যুবসমাজ এবং জাতির ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলেছিল। আমরা এসব বিষয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছি, যা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রথম দাবি ছিল দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের জাতীয়করণ। কারণ, জাতি গঠনের মেরুদণ্ড যদি শিক্ষা হয়, তবে শিক্ষার মেরুদণ্ড হলেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা যদি দুর্বল থাকেন, তাহলে জাতিও গঠিত হতে পারে না।

অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা এ দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন এবং জানান যে, বিষয়টি এর মধ্যে আলোচনায় রয়েছে, ভবিষ্যতেও এটা নিয়ে আরও আলোচনা করা হবে।

দলের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল, নন-এমপিও শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওভুক্ত করা।

তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছরে রাজনৈতিক কারণে যেসব শিক্ষক বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের অবসর ভাতাও দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদেরও এমপিওভুক্ত করার দাবি জানানো হয় বৈঠকে।

এ ছাড়াও, সিলেবাস প্রণয়নের বিষয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়, যেখানে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সিলেবাস প্রণয়নের আহ্বান জানানো হয়।

অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি তারা মন দিয়ে শুনেছেন এবং আগামীতে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা আশাবাদী, আমাদের এই কথার মাধ্যমে গোটা দেশ ও জাতির প্রতিফলন হবে। আগামী দিনের বাংলাদেশ একটি সুন্দর রাষ্ট্রে পরিণত হবে এবং শিক্ষাব্যবস্থা ইসলামিকরণের মাধ্যমে যাতে দেশে ঈমান আকিদা অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে ওঠে। সৎ এবং আলোকিত মানুষ গড়ার যে শিক্ষাব্যবস্থা এ ব্যবস্থা প্রণয়নের জন্য আমরা বলেছি। তারা দেখবেন বলে কথা দিয়েছেন। সুবিবেচনা করা হবে। 

এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।