ঢাকা শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫

কোরবানির ঈদের দিন করণীয়-বর্জনীয়

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
প্রতীকী ছবি।

পবিত্র ঈদুল আযহার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি পবিত্র ও আনন্দময় দিন। এ দিনটি ত্যাগের প্রতীক এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের। তবে এ ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালনের সময় করণীয় ও বর্জনীয় কিছু বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি না দিলে তা ধর্মীয় শিষ্টাচার, স্বাস্থ্য ও সামাজিক পরিবেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ইসলামী বিধান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মত অনুযায়ী কোরবানির দিনে যেসব বিষয় মেনে চলা উচিত, তা তুলে ধরা হলো—

করণীয় বিষয়গুলো:

ঈদের নামাজের আগে কিছু না খাওয়া- ঈদুল আজহার সকালে কোরবানির আগে কিছু না খাওয়াকে সুন্নাহ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইসলামি বিশেষজ্ঞরা।

সুন্নাহ মোতাবেক কোরবানি সম্পন্ন করা- পশুকে কিবলামুখী করে জবাই, বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলা, ধারালো ছুরি ব্যবহার এবং পশুর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ইসলামী নিয়ম।

মাংস সুষ্ঠুভাবে বণ্টন- নিজেদের জন্য একাংশ রেখে, আত্মীয়স্বজন ও গরিবদের মধ্যে বণ্টন করা সুন্নত ও সামাজিক দায়িত্ব।

পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা- কোরবানির স্থান পরিষ্কার রাখা এবং রক্ত ও বর্জ্য স্বাস্থ্যসম্মতভাবে অপসারণ করা নাগরিক দায়িত্ব।

তাকবিরে তাশরিফ পাঠ করা- ৯ জিলহজ ফজর থেকে ১৩ জিলহজ আসরের নামাজ পর্যন্ত তাকবির বলা ওয়াজিব।

বর্জনীয় বিষয়গুলো:

পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা: জবাইয়ের আগে বা পরে পশুকে অহেতুক কষ্ট দেওয়া নিষিদ্ধ এবং অমানবিক।

অপচয় ও দেখনদারিত্ব: কোরবানির নামে লোক দেখানো ও খাদ্য অপচয় ইসলাম বিরোধী।

অদক্ষ কসাই নিয়োগ: অভিজ্ঞতা না থাকা ব্যক্তি দিয়ে পশু জবাই করালে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

শিশুদের পাশে রাখা: জবাই বা কাটাকাটি চলাকালে শিশুদের পাশে রাখা বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ।

বর্জ্য অপসারণে অবহেলা: কোরবানির বর্জ্য যত্রতত্র ফেলে দিলে নগরীর পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হতে পারে।

সচেতনতার আহ্বান

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা বলছেন— ঈদের আনন্দ ধরে রাখতে হলে ধর্মীয় নির্দেশনা ও নাগরিক সচেতনতা একসঙ্গে অনুসরণ করতে হবে। সামান্য অসতর্কতা বা অব্যবস্থাপনা বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বা পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাতে পারে। সুতরাং ধর্মীয় ত্যাগ ও সামাজিক দায়িত্ববোধ একত্রে পালন করেই হোক এবারের কোরবানি।