কোরবানির সময় অনেকেই জানতে চান, একটি গরু বা অন্য কোনো পশু কয়জন ব্যক্তির নামে কোরবানী করা যায়। ইসলামি শরিয়াতে এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে নির্ধারিত আছে, যা কোরবানির বিধান মেনে চলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
একটি পশু একাধিক ব্যক্তির নামে কোরবানি করা যায়
ইসলামি শরিয়তে একটি পশু সর্বোচ্চ সাত (৭) জন ব্যক্তির নামে কোরবানি করা যায়। এই নিয়ম হাদিসে এসেছে, যেখানে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একটি গরু বা উট সাতজন ব্যক্তির নামে কোরবানি করা যায়।’ (সহীহ মুসলিম)
কেন সাতজন পর্যন্ত
এক পশু সাতজন পর্যন্ত ভাগ করে কোরবানি করা যায় কারণ আল্লাহর নির্দেশে এটি গ্রহণযোগ্য। এতে খরচ কমে এবং অধিক মানুষ সহজে কোরবানির ফজিলত পেতে পারে।
পশুর ভাগ করা ও নিয়ত
একটি পশুতে সাতজন ব্যক্তি যদি অংশ নেন, তবে প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা নিয়ত করতে হবে। অর্থাৎ, প্রত্যেকের নামে আলাদা নিয়ত ও অংশ নিশ্চিত করতে হবে।
ছোট পশু যেমন ছাগল বা ভেড়া ক্ষেত্রে
ছাগল, ভেড়া বা মহিষের মতো ছোট পশু সাধারণত এক ব্যক্তির জন্য কোরবানী হয়। এই পশুগুলো ভাগাভাগি করার অনুমতি শরিয়তে নেই।
কোরবানির অংশীদারিত্বের নিয়ম
যে সাতজন ব্যক্তি একই পশুর কোরবানি করবেন, তাদের পূর্বে সম্মতি থাকতে হবে এবং পশুটি সবাই মিলে কেনা বা অধিকার থাকা প্রয়োজন।
একটি গরু বা বড় পশু সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির নামে কোরবানি করা সম্ভব। এটা ইসলামি শরিয়তে সুস্পষ্ট বিধান এবং খরচ কমানোর পাশাপাশি অধিক মানুষের জন্য ফজিলত লাভের সুযোগ দেয়। ছোট পশু যেমন ছাগল বা ভেড়া এক ব্যক্তির নামে কোরবানি করা উচিত।