কোরবানি করা অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। মূলত আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পশু জবাই করাকে কোরবানি বলে। আর্থিক ইবাদতসমূহের মধ্যে কোরবানির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তির নামে কোরবানি নফল ইবাদত হিসেবে দেওয়া জায়েজ। কেউ যদি সওয়াবের নিয়তে নিজের পক্ষ থেকে কোরবানি করে এবং সেই সওয়াব মৃত বাবা-মা বা আত্মীয়-স্বজনকে উপহার করেন তাহলে শরিয়ত এতে অনুমতি দেয়।
ওসিয়তের ভিত্তিতে কোরবানি
যদি কোনো ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় ওসিয়ত করে যান যে, মৃত্যুর পর তার নামে কোরবানি দেওয়া হোক- তাহলে তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ থেকে সেই ওসিয়ত পূরণ করা জরুরি। এটি তখন মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে ওয়াজিব হিসেবে আদায় করা হবে, যদি ওসিয়ত বাস্তবায়নের সক্ষমতা থাকে।
ওসিয়ত না থাকলে নফল কোরবানি
যদি কোনো ওসিয়ত না থাকে, তবে মৃত ব্যক্তির নামে কোরবানি করা যাবে, তা হবে নফল কোরবানি। এতে সওয়াব মৃত ব্যক্তির রুহের উদ্দেশ্যে পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে এমন কোরবানির আগে জীবিতদের কোরবানি আদায় করে নেওয়া উত্তম।