ঢাকা শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ছেলে হলেন কনস্টেবল

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৫, ১২:০২ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বাবা একজন থানার পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ছেলে এখন নিজেই পুলিশ। এমনই এক অনুপ্রেরণার গল্প সৃষ্টি করেছেন দেলোয়ার হোসেন। মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার পরিচ্ছন্নতাকর্মী রিপন মিয়ার ছেলে দেলোয়ার মাত্র ১৩০ টাকা খরচ করে নিজের মেধা ও যোগ্যতায় বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

দেলোয়ারের বাড়ি মৌলভীবাজার শহরের গোমড়া এলাকায়, পুলিশ সায়েন্স সংলগ্ন অঞ্চলে। ছোটবেলা থেকেই পুলিশ লাইন্সে যাতায়াত, পুলিশের পোশাক ও শৃঙ্খলা দেখে তার ভেতরে জন্ম নেয় পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয় তার প্রচেষ্টা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে।

দেলোয়ার বলেন, ‘ছোট থেকে পুলিশের ইউনিফর্ম আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। গত বছর পরীক্ষায় বসে লিখিত অংশে উত্তীর্ণ হতে পারিনি। কিন্তু এবার নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করে পরীক্ষা দিই এবং আলহামদুলিল্লাহ, আমি নির্বাচিত হয়েছি-কোনো ধরনের ঘুষ বা তদবির ছাড়াই।’

দেলোয়ারের বাবা রিপন মিয়া বলেন, ‘থানায় কাজ করতে গিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতাম, আমার ছেলে একদিন পুলিশের চাকরি করবে। আগে শুনতাম পুলিশের চাকরিতে লাখ লাখ টাকা লাগে। কিন্তু আমার ছেলের চাকরি প্রমাণ করে দিয়েছে-সত্যিই এখন মেধা আর যোগ্যতা দিয়েই সম্ভব। ১৩০ টাকা ছাড়া আর এক টাকাও কাউকে দেই নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর হয়নি, এবার আল্লাহর রহমতে লিখিত ও ভাইভা দুটোতেই উত্তীর্ণ হয়েছে। আমার ছেলের জন্য সবার দোয়া চাই।’

মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। যে ১৯ জন নির্বাচিত হয়েছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ পরিবারের সন্তান। তারা সবাই যোগ্যতার ভিত্তিতেই এই পদে নির্বাচিত হয়েছে। সদর থানার ওসির মাধ্যমে রিপনের ছেলের বিষয়ে জানতে পেরে আমি নিজেও খুব আনন্দিত হয়েছি।’